জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: আগামী ২৪ নভেম্বর যশোরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভা। এই জনসমাবেশকে ঘিরে যশোর শহর ও আশপাশের এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার যশোর পৌর কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সহায়তায় দড়াটানা থেকে এয়ারপোর্ট, মুজিব সড়ক ও কোর্ট চত্বর থেকে স্টেডিয়ামপাড়াসহ তিন সড়কের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করে।
চা দোকানি সুলতান মিয়া জানান, সোমবার পৌরসভার লোকজন ও একদল পুলিশ কোর্ট এলাকায় লাইট পোস্ট, বিভিন্ন বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি ভবনের ওয়ালে যত্রযত্রভাবে টানানো বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করে।
এ সময় সার্কিট হাউস এলাকা ও স্টেডিয়াম পাড়াতেও পরিচালনা করতে দেখা যায়।
দড়াটানার ভ্রাম্যমাণ ফল বিক্রেতা আব্দুল করিম জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা এলাকাতেও অভিযান চালাতে দেখা যায়। এ সময় বিভিন্ন ভবনের ওয়াল ও লাইট পোস্ট থেকে প্যানা, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও পোস্টার অপসারণ করা হয়।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, রবিবার কালেক্টরেট সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শহরের কিছু এলাকা প্যানা, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও তোরণমুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সোমবার পৌরসভার লোকজন ও পুলিশের সহায়তায় প্রথমদিনের মতো ৩টি সড়কের প্যানা, ফেস্টুন, বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে। সোমবারের অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পৌরসভার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম আবু নওশাদ ও সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল আহম্মেদ নেতৃত্বে দেন।
সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল আহম্মেদ বলেন, শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও বিলবোর্ডসহ হরেক রঙ ও নানা সাইজের পোস্টার। প্রশাসনের সিদ্ধান্তে সোমবার ৩টি সড়কের ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডগুলো অপসারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন- শহরের সৌন্দর্র্য পুনরুদ্ধারে কাজ করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। তোরণ উচ্ছেদ করা হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে প্রকৌশলী বিএম কামাল আহম্মেদ বলেন- বিষয়টি রাজনৈতিক। জানতে পেরেছি যে বা যারা তোরণ নির্মাণ করেছে তারা স্ব-উদ্যোগে ভেঙে নেবেন।
তিনি বলেন- প্রাচীন জেলা যশোর ও পৌর শহরের সৌন্দর্য বর্ধনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনে বিভিন্ন কাজ চলমান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের পরও যত্রতত্রভাবে পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও প্যানা যাতে টানিয়ে কেউ যাতে সৌন্দর্য গিলে খেতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঘষা-মাজা করে রঙ করার হিড়িক পড়ে গেছে। পৌর এলাকা যেন সাজছে নতুন সাজে।
অন্যদিকে রবিবার গভীর রাতে ও সোমবার কাকডাকা ভোরে সড়কের ময়লা-আবর্জনা ও ধুলো-বালি ধুয়ে-মুছে ঝকঝকে করতে দেখা যায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের। এরই মধ্যে পৌর এলাকার চেহারা বদলাতে শুরু করেছে।
পরিচ্ছন্নতা কর্মী সুমন দৈনিক কল্যাণকে বলেন- প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। দিন-রাত চলছে ময়লা-আবর্জনা ফেলাসহ সড়কের ধুলো-বালি ঝাড়ু দেয়ার কাজ। তিনি বলেন, আমরা অবহেলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। যেকারণে আমাদের দিকে কারোর নজর নেই।