বাগআঁচড়া প্রতিনিধি
যশোরের শার্শায় গভীর নলকূপে বিদ্যুত সংযোগ না থাকায় ১১০ বিঘা জমিতে সঠিকভাবে আবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা। বিদ্যুত চালিত গভীর নলকূপটি এক বছর বন্ধ থাকার ফলে ডিজেল চালিত গভীর নলকূপে সেচ নিয়ে বেশি টাকা খরচ হওয়ায় রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে জরুরী ভাবে ওই নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগের জোর দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে মশিয়ার, রাজ্জাক ও ফজলুসহ অনেক কৃষক জানান, শার্শা উপজেলা পুটখালী ইউনিয়নের বালুন্ডার শফিকুল ইসলাম ১৯৯২ সালে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেন। যার আওতায় ১১০ বিঘা জমিতে কৃষকরা চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু শফিকুলের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে জমিতে পানি না দেয়া, সেচ বিল দ্বিগুণ নেয়া সহ নানা অভিযোগ ছিলো কৃষকদের। একপর্যায়ে শফিকুল তার গভীর নলকূপটি বন্ধ করে দেয়। এতে কৃষকরা পড়েন মহা বিপাকে। পরিবর্তিতে উপায়ন্ত না পেয়ে একই মাঠে ৫৮ জন সদস্য নিয়ে একটি ডিজেল চালিত গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। সেই নলকূপে সেচ পেলেও কৃষকদের গুণতে হচ্ছে বেশি অর্থ। এমন পরিস্থিতিতে ওই গভীর নলকুপে বিদ্যুৎ সংযোগ পেলে সঠিকভাবে আবাদের পাশাপাশি খরচ কমবে কৃষকদের। এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ চেয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন কৃষকরা।
এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা সম্পুর্ন মিথ্যা বরং তারা আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে গভীর নলকূপ বন্ধ করে দিয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার নারায়ন চন্দ্র পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, একটি আবেদন পেয়েছি। তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।
১ Comment
Pingback: ডোমার হোটেলের পাশে যেন ময়লার ভাগাড়