নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের শার্শার উলশীর পানবুড়ি এলাকায় ৫০ বছরের শফিকুল ইসলাম একই এলাকার ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হলে তার গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করে দেয়া হয়। গর্ভপাতের কারণে ভুক্তভোগী মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ভুক্তোভোগী ওই কিশোরী সাংবাদিকদের জানান, প্রতিবেশি শফিকুল ইসলাম দেখা হলেই নানা রকম রঙ-রসের কথা বলতেন। আর এভাবে চলাফেরার মাঝে তাকে উত্ত্যক্তও করতেন। এরই মাঝে বিভিন্ন ধরণের প্রলোভন দেখিয়ে ও ফুঁসলিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন শফিকুল ইসলাম। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে শফিকুল ইসলামকে বিষয়টি জানিয়ে বিয়ে করার জন্য বলা হয়। কিন্তু কোনভাবেই তিনি বিয়ে করতে রাজি নয়। ফলে বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন উপজেলার বাগআঁচড়ার সাতমাইল বাজারের একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে (কিশোরী) গর্ভপাত ঘটায়।
সূত্র মতে, গর্ভপাতের কারণে সন্তানটি মারা যায়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে কিশোরী। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ভুক্তভোগী কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু খবর পেয়ে মৃত সন্তানটিকে উদ্ধার করে পুলিশ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে রেখেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বজন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তিনি শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।