জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: যশোরের শার্শা উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ প্রণোদনা প্রকল্পের প্রায় ১০ লাখ টাকা অনিয়মের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। প্রকল্পের তালিকাভুক্ত কৃষকদের অভিযোগ তাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়নি। অথচ শোনা যাচ্ছে তদন্তের কাজ শেষ হয়ে গেছে। তবে তদন্ত কর্মকর্তা যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শষ্য) আবু তালহা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, চলতি শীত মৌসুমে পেঁয়াজ চাষে তালিকাভুক্ত কৃষকদের মধ্যে প্রণোদনা দেয় সরকার। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে প্রণোদনা দেয় সরকার। শার্শা উপজেলায় দুটি পর্যায়ে ২৬০ জন কৃষকের নাম তালিকাভুক্ত করে কৃষি বিভাগ।
কিন্তু বাস্তবে ১১টি ইউনিয়নের ১১০ জন চাষিকে প্রণোদনা বাবদ শুধুমাত্র বীজ ও সার প্রদান করা হয়। তবে কাগজপত্রে ১৩০ জন চাষি প্রণোদনার অর্থসহ কৃষি উপকরণে পেয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে। বাস্তবে তারা উপকরণ ও চাষ এবং শ্রমিক খরচের অর্থ পাননি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৩০ জন কৃষকের বদলে ১১৫ জনকে প্রণোদনার আওতাভুক্ত করে উপজেলা কৃষি বিভাগ। এসব কৃষক পেয়েছেন সার-বীজ ও কিছু পলিথিন। দুই পর্যায়ে কোনো কৃষক পাননি প্রণোদনার অর্থ।
এ বিষয়ে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি তদন্তের জন্য উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হককে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়। উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক দন্তভার দেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শষ্য) আবু তালহার ওপর।
চলতি মাসের ৮ তারিখে তদন্তে যান আবু তালহা। কিন্তু অভিযোগে রয়েছে তালিকাভুক্ত কৃষকদের বক্তব্য গ্রহণ করেননি তিনি। উপজেলার গোকর্ণ গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান প্রণোদনার সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, কবে কে তদন্ত করেছে তা জানা নেই।
একই অভিযোগ করেছেন অভিযোগ প্রদানকারী ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন তোতা। তার বক্তব্য গ্রহণ করেননি তদন্ত কর্মকর্তা।
যোগাযোগ করা হলে তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আবু তালহা জানান তদন্তে গাফিলতি হয়নি। অভিযোগকারীদের সাথে কথা বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
তবে সুবিধাবঞ্চিত চাষিদের অভিযোগ তদন্তের নামে প্রহসনের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের সাথে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভুক্তভোগীরা।