নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকায় শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের মতো যশোরেও কর্মবিরতি, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর উদ্যোগে এক ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সারাদেশে কর্মবিরতির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “ঢাকায় শিক্ষকদের ওপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে, তা সভ্য সমাজে কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। জাতির কারিগর শিক্ষকদের এভাবে রক্তাক্ত করা ও অপমান-অপদস্থ করা লজ্জাজনক।” তাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়িত হয়নি। এবার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেন তাঁরা। শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা নয়, মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে প্রদান করতে হবে, চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকায় উন্নীত করতে হবে;কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করতে হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিক্ষকনেতা সায়েদা বানু শিল্পী, সোহেল রানা, আনারুল ইসলাম, এহসানুল হক, দয়ানন্দ হালদার, মহিবুল্লা হক, সাহেব আলী, গোলাম মোস্তফা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ্যাড. আমিনুর রহমান হিরু, জুলাই আন্দোলনের নেতা ইমরান খান, শিক্ষক আলাউদ্দীন, সামাজিক আন্দোলনের নেতা জিল্লুর রহমান ভিটু, কবি জাহিদ আক্কাজ ও সাবেক সমন্বয়ক রাশেদ খান প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন যশোর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ খানজাহান আলী শান্ত এবং সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক হাসিনুর রহমান। বক্তারা বলেন, “শিক্ষকদের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”

 
									 
					