যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমি স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক ও নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুলে স্কুল ভাঙচুর করেছেন। এ বিষয়ে দুপক্ষের দুরকম বক্ত্যব্য পাওয়া গেছে। নিয়োগ কর্তৃপক্ষ বলছে, শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে পরীক্ষা হচ্ছিল, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নিয়োগ কার্যক্রম ঘোলাটে। প্রকৃত ঘটনা তদন্তে বেরিয়ে বলে আমরা মনে করি ।
রূপদিয়া স্কুলের নিয়োগ বিষয়টি হাজারো ঘটনার মধ্যে একটি। রূপদিয়া স্কুলে নিয়োগ কারচুপি হয়েছে তা আমরা বলছিনে। সারা দেশের চিত্র হলো, কমিটির কোনো কাজ নেই, কর্ম নেই, উন্নয়নের ভাবনা নেই, শিক্ষার্থী সংগ্রহের চিন্তা নেই, রেজাল্ট ভালো-মন্দের দায়-দায়িত্ব নেই, স্টাফের বেতন-ভাতা দেবার দায়বদ্ধতা নেই, কাজের নামে আছে শুধু সরকারি যে সব বরাদ্দ আসে তা চেটে পুছে খাওয়া। নিয়োগ বাণিজ্য তাদের বড় ব্যবসায়। তারা টাকার লোভে মেধাবীদের বাদ দিয়ে মেধাহীন অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা নাজুক করে তোলে । ্নিয়োগে দুর্নীতি বন্ধের লক্ষ্যে প্রধান শিক্ষক বাদে অন্য শিক্ষক পদে নিয়োগ হয় এনটিআরসির মাধ্যমে। কিন্তু তাতে কিছু হয়নি। তারা ফরমান জারি করলো, সরকার নিয়োগ দিয়ে পাঠিয়েছে তাতে কি হয়েছে। যিনি যোগদান করতে আসবেন তাকে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে হবে। নতুবা যোগদান করতে দেয়া হবে না। হয়েছেও তাই। চাকরির একটা প্রয়োজন তাই ঘটি-বাটি, ঝুলি কাঁথা বেচে অথবা শেষ সম্বল অন্য কিছু খুইয়ে ম্যানেজিং কমিটির ক্ষতি পোষাতে হয়েছে।
কি কাজ ম্যানেজিং কমিটির তা আজ পর্যন্ত শিক্ষকরাতো বটেই জনগণও বুঝতে পারেনি। এরা চেটেতো খাচ্ছেই তার ওপর গরুর রাখালের মতো আচরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের সাথে। তাও কথা ছিল এই কমিটির যিনি চালিকা শক্তি তার বিদ্যার বহরটি সম্মান করার মতো মাপের যদি হতো। মুর্খ লোকেরা স্থানীয় প্রভাব প্রতিপত্তির বদৌলতে ম্যানেজিং কমিটিতে ঢোকে। যেখানে মানুষ গড়া হয়, বড় মাপের মানুষ তৈরির সুতিকাগার যে প্রতিষ্ঠান তার পরিচালিকা শক্তি যদি বিদ্যাহীনের ঘাড়ে চাপে তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকে সহজেই অনুমেয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো যারা নীতি নির্ধারক তারা বিষয়টা বোঝেন না। নীতিনির্ধারকরাও তো ওই স্তর অতিক্রম করে আজ শীর্ষে উঠেছেন। তারা যদি একবার ভাবতেন এ ভাবে চলতে পারে না, তাহলে সব সমস্যার সমাধান সহজেই হয়ে যেত। কিন্তু এমন একটি জাতীয় জটিল সমস্যা নিয়ে কেউ কিছু ভাবছেন না। গুণীজনের ওপর মূর্খজনের খবরদারি করতে দেয়া সমীচিন নয়। কেউ যদি বিষয়টা দেখেও না দেখার, বুঝেও না বোঝার ভান ধরেন তাহলে এর ফল শুভ হবে না।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ অবস্থা চলছে। আমরা মনে করি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়েগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে জরুরী ব্যবস্থা নিয়া উচিত।