নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত পরিচয় দিয়ে চাকরি দেয়ার নামে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল সজীব হোসেন ওরফে কাজী মাহমুদ হাসানের (২৫) বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে তাকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর। গতকাল (১৮ এপ্রিল) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অবন্তিকা রায় জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। সজীব হোসেন মণিরামপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের কাজী রেজাউল হকের ছেলে।
পিবিআই জানিয়েছে, সজীব নিজেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করেন বলে এলাকায় পরিচয় দেন। এলজিইডিতে তার এক কর্মকর্তার সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সরকারি পদে চাকরি দিতে পারবেন বলেও প্রচার করেন। তিনি মণিরামপুরের পলাশী গ্রামের আমির হোসেনের ছেলেকে এলজিইডি’র কমিউনিটি অর্গানাইজার পদে চাকরির জন্য প্রলোভন দেখায়। চাকরির জন্য তিনি ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এক পর্যায় ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সজীব ৭ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু চাকরি না দিয়ে আজ না কাল বলে ঘুরাতে থাকে। এই ঘটনায় হাসিনা বেগম যশোর পিবিআই অফিসে অভিযোগ দেন। পিবিআইয়ের এসআই মনিরুল ইসলাম অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব পান। তদন্তকালে সজীবকে আটকের পর মণিরামপুর থানায় মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।