কল্যাণ ডেস্ক: সাধারণত গ্যাসের সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। তবে আপনি জানেন কি, এক মাস বয়সের শিশুরও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে? জিনিসটা শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও সত্যি। ছোট বাচ্চাদেরও গ্যাসের সমস্যা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুদের গ্যাস হলে করণীয় সম্পর্কে—
বাচ্চাদের গ্যাস হওয়ার কারণ
ছোট শিশুদের পরিপাকতন্ত্র একদম প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় তাদের যা-ই খাওয়ানো হোক না কেন, সেটা হজম করতে তাদের অসুবিধা হতে পারে। সাধারণত চার থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুদের গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়। তবে এর থেকে কম বয়সী বাচ্চাদেরও এমন সমস্যা হতে পারে।
আবার শিশুরা খাবার গ্রহণের সময় অনেক বেশি বাতাসও ভেতরে নেওয়া। গ্যাস সেখান থেকেও হতে পারে। এ ছাড়া মা কী ধরনের খাবার গ্রহণ করছেন, সেটার প্রভাবেও শিশুর গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
বাচ্চার গ্যাস হলে কী করবেন
১। শিশুর গ্যাসের সমস্যা হলে তাকে উপুড় করে হাঁটুর ওপরে শোয়াতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে তার পিঠে মালিশ করতে হবে। এভাবে কিছুক্ষণ মালিশ করলে শিশুর গ্যাসের সমস্যা দূর হবে।
২। পিঠে মালিশের পর যদি কাজ না হয়, তবে শিশুকে স্বাভাবিকভাবে শুইয়ে তার পেট মালিশ করতে হবে। আস্তে আস্তে হাতের আঙুল দিয়ে তার পেটে চাপ দিয়ে মালিশ করতে হবে।
৩। বাচ্চা যত বেশি কান্না করবে, তত বেশি তার কান্নার সঙ্গে বাতাস পেটে ঢুকবে। এই বাতাসও কিন্তু পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করতে পারে। তাই শিশুর কান্নার আগেই তার সঙ্গে খেলা করুন বা তাকে খেতে দিন।
৪। বাচ্চাদের জন্য বাজারে কিছু ‘বেবি গ্যাস ড্রপস’ কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহারে শিশুদের গ্যাসের সমস্যা কমতে পারে। তবে এইগুলো যে সব শিশুদের ক্ষেত্রে কাজ করবে তা কিন্তু না। আর এগুলো কেনার বা শিশুকে দেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৫। গ্যাস হলে শিশুকে খুবই হালকা গরম পানি পান করানো যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, শিশুর জিহ্বা যেহেতু খুবই স্পর্শকাতর, তাই পানি যেন এমন তাপমাত্রার হয় যাতে সে তা খেতে পারে।
৬। বাচ্চার গ্যাস যদি অনেক বেশি হয়, তবে কিছুদিন তাকে প্যাকেটজাত দুধ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ অনেক সময় এসব দুধ হজমে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৭। যে মা শিশুকে দুধ পান করাচ্ছেন, তার খাবার বা ডায়েটের কারণে শিশুর গ্যাস হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। প্রয়োজনে ডায়েটিশিয়ানের শরণাপন্ন হয়ে জেনে নিতে হবে, মায়ের কোনো ধরনের খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে কিনা।
সাধারণত দুধ জাতীয় খাদ্য, চা বা কফি, পেঁয়াজ, বাঁধাকপি যদি মায়ের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকে, তবে শিশুর গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।