নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে তিন বছরের শিশু কন্যা খাদিজা খাতুন সায়মা হত্যার ঘটনায় তার মা এবং তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। গত ১৫ মে রাতে সদর উপজেলার সিরাজসিংগা গ্রামে এই ঘটনার পরে নিহতের পিতা মণিরামপুরের মাছনা গ্রামের হেলাল হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় ওইদুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
আসামিরা হলো, সিরাজসিংগা গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে শহিদুল ইসলাম এবং শহিদুলের স্ত্রী ও বাদী হেলালের প্রথম স্ত্রী সামিয়া খাতুন।
বাদী হেলাল হোসেন মামলায় বলেছেন, চার বছর আগে সিরাজসিংগা গ্রামের আব্দুল হামিদ গাজীর মেয়ে সামিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে খাদিজা খাতুন সায়মা নামে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে মেয়েটির বয়স তিন বছর। ২০২৩ সালে দাম্পত্য কলহের কারণে আসামি সামিয়া খাতুনকে তালাক দেন হেলাল। কিন্তু মেয়েটি সামিয়ার কাছেই রেখেছেন। মেয়েকে নিয়মিত খোরপোষ দিয়ে আসছিলেন হেলাল। দুই মাস আগে সামিয়া খাতুন অপর আসামি শহিদুল ইসলামের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু মেয়েটি নিয়ে শহিদুলের সংসারে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে শহিদুল ও সামিয়া। গত ১৬ মে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মেয়েটিকে দেখতে এবং তার খরচের টাকা দিতে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সামিয়ার বাড়িতে যান হেলাল। এসময় সামিয়া বলছে ১৫ মে রাত ৮টার দিকে খাদিজা মারা গেছে। লাশটি তাদের বাড়িতে দেখে থানা পুলিশকে অবহিত করেন হেলাল। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। ময়না তদন্ত শেষে হেলাল লাশটি নিয়ে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন। এই ঘটনায় ১৭ মে কোতোয়ালি থানায় সাবেক স্ত্রী সামিয়া খাতুন এবং তার বর্তমান স্বামী শহিদুলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। পুলিশ এদিনই তাদের দুইজনকে আটকের পরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।