এম আর মাসুদ, ঝিকরগাছা
যশোরের ঝিকরগাছায় তীব্র শীত-কুয়াশায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ঘন কুয়াশায় পেয়ারার ফুল, পান ও টমেটো গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। বোরো ধানের বীজতলা হলুদ বর্ণ হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। সপ্তাহ খানিক ধরে শীত-ঘন কুয়াশায় কিছু ফসেলর ক্ষতি হলেও শাক সবজির উপকার হয় বলে দাবি করেন কৃষি কর্মকর্তা। শীত আর কুয়াশার তীব্রতা বাড়লে বোরো ধান রোপণ থেকে বিরতি থাকার পরামর্শও দেন তারা।
শনিবার সরেজমিনে উপজেলার বারবাকপুর ও বোধখানা মাঠে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা ও রোদ না থাকায় পেয়ারা গাছের ফুল, পান পাতা ও টমেটো গাছের নিচের দিকের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও সরিষার ফুল ঝরে যাচ্ছে। তবে গম, মসুরসহ কয়েকটি সবজি তীব্র শীতে গাছের চেহারা ভালো হয়েছে।
বারবাকপুর গ্রামের খন্দকার নাদির বলেন, ‘ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে পেয়ারা গাছের ফুল শুকিয়ে ঝরে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছি। এক একর জমির মধ্যে ২৫ শতকের নতুন গাছের ফুল একবারে ঝরে গেছে’। বোধখানা গ্রামের সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহের কুয়াশা ও তীব্র শীতে পানপাতা হলুদ হয়ে ঝরে যাচ্ছে। তাই সময় আসার আগেই উঠায়ে বাজারে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে করে একদম নামমাত্র মুল্যে পান বিক্রি করতে হয়। ফলে আমার এক একর জমির পান চাষে অনেক টাকা ক্ষতি হবে’।
উপজেলার বল্লা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশা-শীতের কারণে মাঠে ধানের বীজতলা হলুদ হয়ে গেছে। কুয়াশা ও শীত যদি আরো কিছুদিন থাকে তাহলে বোরোধান রোপনে বীজপাতার অভাব দেখা দেবে। তবে পলিথিনে ঢাকা শুকনো ও আদর্শ বীজতলায় শৈত্য প্রবাহ ও কুয়াশায় ক্ষতি হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, শীতে কিছু ফসেলর ক্ষতি হলেও অধিকাংশের উপকার হয়। তবে শীত আর কুয়াশার তীব্রতা বাড়লে বোরো ধান রোপণ থেকে বিরতি থাকতে হবে। আর ঝিকরগাছাতে শুকনো ও আদর্শ বীজতলা থাকায় ঝুঁকি কম। শুকনো বীজতলা পলিথিনে ঢাকা থাকায় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ফলে ক্ষতি হয়নি। কৃষকদের সহযোগিতার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।