নিজস্ব প্রতিবেদক
শেখ কামালকে এই ভু-খন্ডের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ যুবক বলে অভিহিত করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত বীরমুক্তিযোদ্ধা মমতাজ হোসেন। শনিবার যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন (ডিএফএ) ও আবাহনী ক্রীড়া চক্র যশোর আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই, ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও দেশবরেণ্য ক্রীড়া সংগঠক শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন।
শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মমতাজ হোসেন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যদি এই ভু-খন্ডের সর্বশ্রেষ্ঠ যুবক বলে কাউকে অভিহিত করতে চায় তাহলে শেখ কামালকে করতে হবে। কেননা ২৬ বছর বয়সে অধিকাংশ যুবকের বাস্তব জীবন বা কর্মজীবন শুরু হয়। কিন্তু ২৬ বছর বয়সে শেখ কামাল যা অর্জন করেছিলেন তা অন্য কেউ অর্জন করতে পারেনি। তিনি একাধারে শিল্পী, ক্রীড়া সংগঠক, নেতা ছিলেন। শেখ কামালের দুরদর্শিতায় আজ দেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি অঙ্গন এগিয়ে যাচ্ছে।
সাবেক এ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়েও শেখ কামাল সাধারণ জীবনযাপন করতেন। বন্ধুরা জোর করেও তাকে কখনো চায়নিজ হোটেলে নিয়ে যেতে পারেনি।
শেখ কামালের তিনটি শার্ট ও তিনটি প্যান্ট ছিলো বলে মন্তব্য করেন মমতাজ হোসেন।

অনুষ্ঠানে শেখ কামালের জীবনের নানা গল্প তুলে ধরে আরও বক্তব্য রাখেন, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়া সংগঠক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা রকিবুল হাসান ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক বীরমুক্তিযোদ্ধা ম হামিদ।
রকিবুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে শেখ কামালের অসাধারণ অবদান ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গঠনের জন্য আমরা একটা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলাম। সেখানে সবার আগে উপস্থিত ছিলেন শেখ কামাল। শুধু উপস্থিতই ছিলেন না, তার বাবার বিরুদ্ধে শ্লোগানও দিয়েছিলেন।
সাবেক এ ক্রিকেটার আরও বলেন, শেখ কামালকে কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে দেখেনি। আবার যেটা ভাল সেটা সমর্থন করতেন।
অপরদিকে ম. হামিদ শেখ কামালকে উৎফুল্ল, সাহসী, দায়িত্বশীল ও গুণী শিল্পী হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, শেখ কামাল যে কোন সময়, যে কোন পরিবেশে গান গাইতে পারতেন, সুরও ছিল অসাধারণ। শুধু গানই নয়, অভিনয়ও দারুণ করতেন। তিন চার মিনিটের মধ্যে যে কোন স্ক্রিপ্ট পড়ে অসাধারণ অভিনয় করতেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক অভিনয় প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএফএ’র প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। তিনি শেখ কামালকে তারুণ্যর প্রতীক বলে অভিহিত করেন। শেখ কামাল এমন এক তরুণ যে কখনো বৃদ্ধা হবেন না।
যশোর জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন ও আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সভাপতি আসাদুজামান মিঠুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. জহুর আহমেদ, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তার, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক একরাম-উদ-দ্দৌলা, যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি এজেএম সালেক, উদীচীর উপদেষ্টা মাহাবুর রহমান মজনু, কবি কাসেদুজ্জামান সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম। আলোচনা শেষে চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
