নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকিদাতা’ রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে শাস্তির দাবিতে যশোরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ। সোমবার বিকালে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলটি শহরের গাড়িখানাস্থ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় চত্বর থেকে শুরু হয়ে এইচএমএম আলী রোড ঘুরে দড়াটানা এসে শেষ হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনের নেতৃত্বে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দলীয় কার্যালয় চত্বরে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন শহিদুল ইসলাম মিলন। এসময় তিনি বলেন, ‘রাজশাহী বিএনপির এক নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে হত্যা তো দূরের কথা একটা আঁচড়ও লাগতে দেব না। শেখ হাসিনাকে নিয়ে যদি কোনো রকম ষড়যন্ত্র করা হয় তাহলে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বিএনপি। তাদের রাজপথে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশকে উল্টোপথে নিয়ে যাওয়া শুরু করে। তারা ভেবেছিল এই দেশে বঙ্গবন্ধুর কথা আর কেউ বলতে পারবে না। তার হাতে গড়া রাজনৈতিক দল ও আদর্শের পতাকা কেউ তুলে ধরবে না। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে এসে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যদিয়ে তিল তিল করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে গড়ে তুলেছেন। আবারও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্য জনসভায় বিএনপি নেতা হত্যার হুমকি দিয়েছে। আজ আমাদের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে শপথ নিতে হবে; শরীরে রক্ত থাকা পর্যন্ত আগামী দিনের বিএনপি ও জামায়াত যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেনো সব অপশক্তি রুখে দিবো। আমরা জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীরা দাঁত ভাঙা জবাব দিবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সে সময় থেকেই বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে জয়যুক্ত করে আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য দলীয় নেতাকর্মীদের একযোগে মাঠে থেকে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, হুমায়ন কবির কবু, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ হারুন-অর রশিদ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপী, প্রচার সম্পাদক মুন্সী মহিউদ্দিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী বর্ণ উত্তম, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লুৎফুল কবীর বিজু, উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার, সদস্য মারুফ হোসেন খোকন, অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, সামির ইসলাম পিয়াস, উপশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটু, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ শাহীদ, জাকির হোসেন রাজিব, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির তুহিন, দেয়াড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, চুড়মনকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুনা, জেলা পরিষদের সদস্য রেহেনা খাতুন, পৌর কাউন্সিলর নাছিমা আক্তার জলি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল, সাবেক সহ সভাপতি এস এম নিয়ামত উল্ল্যাহ, সাবেক সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস, সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম, শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রনি প্রমুখ। এর আগে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও শহর থেকে মিছিলসহকারে যোগ দেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
