নিজস্ব প্রতিবেদক
দুই বাঁহাতি স্পিনার শামীম শরীফ ও সিফাত। সোমবার যশোর প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে উইকেট শিকারের প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত দুজনের কেউ কাউকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। বাঁহাতের ঘূর্ণিতে দুজনই নিয়েছেন পাঁচটি করে উইকেট। তবে দলীয় লড়াইয়ে শামীম শরীফের আসাদ ক্রিকেট একাডেমির কাছে হেরেছে সিফাতের দল ম্যাগপাই ক্লাব।
ম্যাগপাই ক্লাবকে ১৫২ রানে থামিয়ে ৩২ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য টপকে যায় আসাদ ক্রিকেট একাডেমি। অপরাজিত ৬০ রান করেন মাহাদি।
আসাদের এ জয়ে শেষ ম্যাচে হবে শিরোপা মীমাংসা। লিগে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে যশোর ক্রিকেট ক্লাব। আসাদ ক্রিকেট একাডেমির পয়েন্ট ১১। অপরদিকে শিরোপা দৌড় থেকে আরএন রোড ক্রীড়া চক্রের সাথে ছিটকে গেল ম্যাগপাই ক্লাব।
এদনি টসে জিতে আসাদ ক্রিকেট একাডেমির অধিনায়ক তানভীর রশিদ আরাফ ম্যাগপাই ক্লাবকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। ব্যাট করতে নেমে দারুন শুরুর পরও শামীম শরীফের স্পিন ঘূর্ণিতে ৪৫ ওভার ৪ বলে সব কয়টি ১৫২ রান করতে পারে। দলের পক্ষে ব্যাট সুজন ৮১ বলে ২টি চারে ৩২, মিরাজ মামুন ৫৩ বলে ১টি চার ও ২টি ছয়ে ৩১, মাহবুব হোসেন ২২ রান করেন। আসাদ ক্রিকেট একাডেমির শামীম শরীফ ৮ ওভার ৪ বলে ২২ রানে ৫টি, হামিদুল হক হৃদয় ২১ রানে ৩টি, হাসানুর রহমান ও রাফসান আল মাহমুদ একটি করে উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় আসাদ ক্রিকেট একাডেমি। একপ্রান্তে ধীরগতির আরাফ ধীর শুরু করলেও অপর প্রান্তে ঝড় তোলেন হাসানুজ্জামান। প্রথম পর্বে ফাইভ স্টারে নাম লেখানো হাসানুজ্জামান ব্যক্তিগত কারণে খেলতে পারেনি। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে হাসানকে দলে ভেড়ান আসাদ ক্রিকেট একাডেমি। প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে ২৯ রান করেন। সিফাতের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরত যাওয়ার আগে খেলেন ২৭ বল। মারেন ৩টি চার ও ২টি ছয়। হাসানুজ্জামানের আউটের পর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান আরাফ ও শামীম শরীফ। শামীম ব্যক্তিগত ২৮ রানে সাজঘরে ফিরলে ভাঙ্গে ৩৬ রানের জুটি। পরের ১০ রানের মধ্যে আরও ২ উইকেট তুলে নিয়ে আসাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে ম্যাগপাই ক্লাব। মাহাদির সহজ ক্যাচ মিস না করলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারতো। শেষ পর্যন্ত মাহাদি ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কাছেই হারতে হয়েছে তাদের। ছয় মেরে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মাহাদি। তার আগে ৩৯ বলে লিগের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন মিডল অর্ডার ব্যাটার। ৩৯ বলে ফিফটি করা মাহাদি শেষ পর্যন্ত ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪৬ বলের ইনিংসে মারেন ৬টি চার ও ৩টি ছয়। বল হাতে ম্যাগপাই ক্লাবের সিফাত একাই লড়েন। ৮ ওভারে ৩৭ রানে ৫টি উইকেট দখল করেন।