এসএম মিজানুর রহমান, শ্যামনগর: সাতক্ষীরার নওয়াবেঁকী বাজারের সিলগালাকৃত ফয়সাল আমিন প্রাইভেট হাসপাতালে পুরোদমে কাজ শুরু করা হয়েছে। এই ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া উপজেলার ছোট কুপোট গ্রামের সালমা খাতুন তার সদ্যভূমিষ্ঠ এক সন্তানকে হারিয়েছেন। জমজ দুই শিশুর অপরজন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংকটাপন্ন বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনা ঘটেছে ১৪ জুন।
জমজ দুই শিশুর একটির মৃত্যু হলে অপর শিশুর পরিণতি উপলব্ধি করতে পেরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের দ্রুত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। দুপুরের পর বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর আরএমও ডা. বিপ্লব কুমার দে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শহীদুল্লাহ’র নেতৃত্বে হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় কর্তৃপক্ষ ক্লিনিক পরিচালনা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেন এবং ক্লিনিকের পরিচালক ফয়সাল আমিনকে আটক করেন। অবৈধভাবে ক্লিনিক পরিচালনার অভিযোগে পরিচালককে এক মাসের সশ্রম কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বিপ্লব কুমার দে জানান, অনুমতি না থাকার অভিযোগে কয়েকদিন আগে হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরিচালনার সাথে জড়িতরা গোপনে আবারো কার্যক্রম শুরু করে।
অপারেশনের দায়িত্বে থাকা ডা. আনিসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি বাচ্চা মৃত অবস্থায় প্রসব হয়, অপার বাচ্চাটা জন্মের পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।
সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়েত জানান, কয়েকদিন আগে সিলগালা করা সত্ত্বেও এমন একটি ক্লিনিক আবারো সচল করে চিকিৎসা সেবার নামে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছে। স্বাস্থ্য বিভাগ এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছেন।