নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২১ এপ্রিল রাতে যশোর শহরের ষষ্ঠীতলাপাড়ার ঘটনা নিয়ে গতকাল প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদরের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে ও যশোর ইন্সস্টিটিউট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তহমিনা খাতুন।
ওই দিন রাতে তার স্বামী ইয়াসির আরাফাতের বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা নিয়ে তার নানা শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা বিব্রকর। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার স্বামী যৌতুকের দাবিতে তার উপর অত্যাচার চালাতেন। পরে বিষয়টি নানাকে জানান। এরপর নানা ইয়াসিনের সাথে কথা বলে। এর মধ্যে গত ২১ এপ্রিল সন্ধ্যার পর ঈদের কেনাকাটার জন্য তিনি ছেলে ও বোনকে নিয়ে বাজারে যান। বাজার থেকে ফিরে আসার পর ইয়াসিন তাকে বাড়ি ঢুকতে দেয় না। ইয়াসিন জানায় সে তহমিনাকে তালকা দিয়েছে। এরপর তহমিনা তার পরিবার ও নানা শহিদুল ইসলাম মিলনকে বিষয়টি জানান। তাহমিনা তার স্বামী ইয়াসির আরাফাতের বাড়ির সামনে অনেকক্ষণ বসে থাকার পর সমাধান না হওয়ায় তার নানার রাজনৈতিক অফিসে যেয়ে তালাকের বিষয়টি জানান। তাহমিনার কথা শুনে ইয়াসির আরাফাতকে নানা মোবাইল করেন। ইয়াসির আরাফাত মোবাইল রিসিভ করে উত্তেজনামূলক কথা বলে মোবাইল বন্ধ করে রাখে। বিষয়টি যশোর কোর্টের পিপি ইদ্রিস আলীকে জানানো হয়। পিপি ইদ্রিস আলীর পরামর্শ অনুযায়ী তহমিনা আবারো স্বামী ইয়াসির আরাফাতের বাড়ি যান। কিন্তু ইয়াসির আরাফাত দরজা খোলে না। তহমিনা ৪ বছরের ছেলে ও বোনকে নিয়ে বাড়ির দরজার সামনে বসে থাকেন। এরপর তাহমিনার বাবা আবুল হোসেনের অনুরোধের এক পর্যায়ে নানা শহীদুল ইসলাম মিলন স্বামীর বাড়ির গেটের সামনে আসেন। এসে তার পরিচয় দিলেও তারা দরজা খোলেনি। বরং বাড়ির ভিতর থেকে বিভিন্ন রকম গালিগালাজ করা হয়। একটা সময় আমার সাথে থাকা আমার বাবা, বোন, আশপাশের লোক ও নানার সাথে থাকা দলীয় লোক দরজা খোলার চেষ্টা করে। একটু ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায়। সবাই ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ইয়াসির আরাফাত তহমিনার পিতা আবুল হোসেনের পাঞ্জাবি কলার ধরে ধস্তাধস্তি করে। এক পর্যায়ে ৯৯৯ এ ফোন করা হয়। পুলিশ এসে বিষয়টি জানার পর তহমিনা ও তার স্বামী ইয়াসির আরাফাতকে থানায় নিয়ে যায়। থানায় যাওয়ার পর তহমিনা ঘটনা বললে ইয়াসির আরাফাতের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়। বিষযটি একটি স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তহমিনা। একই সাথে এ বিষয়ে নানা শহিদুল ইসলামকে জড়িয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানান তহমিনা।
সংবাদ সম্মেলনে তহমিনা খাতুনের পিতা আবুল হোসেন, ভাই গ্রাম্য চিকিৎসক আসাদুজ্জামান বাবু, ছোট বোন আফিয়া আফরিন, চাচা সফিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।