নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর শহরের ষষ্ঠীতলায় তালাক দেয়া নিয়ে হট্টগোল হয়। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। তালাকপ্রাপ্ত ওই নারী যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেছেন। যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তহমিনা খাতুন (৩৪) মামলার বাদী। আর আসামি করা হয়েছে তার স্বামী পরিচয়দানকারী শহরের ৭৮/এ মুজিব সড়ক বাইলেন ষষ্ঠীতলা পাড়ার শাহান ম্যানসনের ইয়াসিন আরাফাত সুমন (৪০) ও তার পিতা রবিউল ইসলামকে (৭০)। শুক্রবার তাহমিনা খাতুন এ মামলা করেন।
এজাহারে তহমিনা খাতুন উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল সুমনের সাথে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনের তাদের একটি পুত্র সন্তান আছে। ঘর সংসার করাকালে সুমন বিভিন্ন সময় ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এজন্য নানাভাবে নির্যাতন চালানো হতো। মেয়ের সুখের কথা ভেবে তার পিতা দেড় লাখ টাকা দেন। এরপর ২০২০ সালের ১০ মে আরো ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এছাড়াও আরও ৪ ভরি সোনার আলংকার দেয়া হয়। কিন্তু কিছু দিন চুপ থাকার পর আবারও নির্যাতন চালাতে থাকে। গত ২১ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফের নির্যাতন চালায়। তাকে মারপিটে ও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার পরিবারের লোকজনকে সংবাদ দিলে তহমিনাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এদিকে ইয়াসির আরাফাত সুমনের বাড়ির লোকজন জানিয়েছে, তহমিনার সাথে ইয়াসির আরাফাত সুমনের তালাক হয়ে যায় আরো তিনদিন আগে। কিন্তু তার পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বৃহস্পতিবার রাতে ইয়াসির আরাফাত সুমনের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর করে ও সুমনকে মারপিট করে। পরে পুলিশের সংবাদ দেয়া হয়। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে। তাদের অভিযোগ তালাকপ্রাপ্তকে জোর করে বাড়িতে উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনায় তাদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা মামলা হিসাবে নেয়নি।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কোতয়ালি থানার এস আই আ ফ ম মনিরুজ্জামান সুমনের বাড়িতে হামলা ভাংচুরের ঘটনা স্বীকার করেন।
এই বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, রাতে ‘৯৯৯’ থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। পরে সেখান থেকে দুপক্ষকে থানায় আনা হয়। এই ঘটনায় মেয়েটি মামলা করলে শোভনকে আটক করে পুলিশ। আর ছেলে পক্ষের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়াধীন।