ঢাকা অফিস: সচিব সভায় জঙ্গি ইস্যুতে সতর্ক থাকাসহ ১১টি নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জঙ্গিরা যেন ব্যক্তি কিংবা অর্থ কোনো ধরনের সহায়তা না পায়। রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভা ও সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা দুটিতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে করণীয়, আমদানি ইস্যুতে ব্যয় সংকোচন, প্রকল্প বাস্তবায়নে ফিজিবিলিটি স্টাডি ঠিকভাবে করা, কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি, তথ্য-প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আয়, রেমিট্যান্স বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ, জঙ্গি ইস্যুতে সতর্ক থাকা, বাজার দর নিয়ন্ত্রণ, ভূমির ই-রেজিট্রেশন ইস্যু এবং সুশাসনের উপর জোর দেয়ার উপর নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, সচিবদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের সাম্প্রতিক ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাংকিং বিভাগকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বৈঠকে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০২৩ সালে কঠিন সময় যাবে। আন্তর্জাতিকভাবে এটা বলা হয়েছে। চীন ও রাশিয়ায় উৎপাদন কমেছে। এ জন্য সংকট আসবে।
তিনি আরও জানান, খাদ্য, সার ও জ্বালানিকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভোগ্যপণ্য, ফল, এসব ক্ষেত্রে খরচ কমাতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প করা যাবে না। বিদেশি সাহায্য বা ঋণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে বা হবে, সেগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। নিজেদের খরচের প্রকল্পে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বৈঠকে।
খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে পতিত সব জমি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উৎপাদন বাড়লে আমদানি কমবে বলে জানানো হয় বৈঠকে।
তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ১০ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কীভাবে উৎপাদন বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।
সচিব জানান, রেমিট্যান্স বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তারা যেন কারও সহায়তা ও অর্থ না পায়, তা নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, এ সময় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। দেশে ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে বলে জানানো হয়। সংকট যেন না হয়, এ জন্য আমদানি ও উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলমান থাকবে। এতে সাধারণ মানুষের উপকার হচ্ছে।
বৈশ্বিক সংকট নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০২৩ সালে কঠিন সময় যাবে। আন্তর্জাতিকভাবে এটা বলা হয়েছে। চীন ও রাশিয়ায় উৎপাদন কমেছে। এ জন্য সংকট আসবে।
তিনি আরও জানান, খাদ্য, সার ও জ্বালানিকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভোগ্যপণ্য, ফল, এসব ক্ষেত্রে খরচ কমাতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প করা যাবে না। বিদেশি সাহায্য বা ঋণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে বা হবে, সেগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। নিজেদের খরচের প্রকল্পে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বৈঠকে।