নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে সন্তানসহ তৃপ্তি রানী দাস নামে এক গৃহবধূকে অপহরণ, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মণিরামপুর উপজেলার ইত্যা গ্রামের গোবিন্দ দাস বাদী হয়ে সৌমিক রায় নামে একজনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) যশোরকে নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি সৌমিক রায় নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মাঝেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বাদী মামলায় বলেছেন, বাদীর মেয়ে তৃপ্তি রানী দাসকে কয়েক বছর আগে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের বিপ্লব দাসের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। দাম্পত্য জীবনে অন্যান্য কেশব দাস নামে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে অন্যন্য কেশব দাসের বয়স চার বছর।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আসামি সৌমিকের সাথে তৃপ্তির কথা হতো। কোন একদিন মোবাইলে কথা বলা দেখে ফেলে তৃপ্তির স্বামী। তৃপ্তিকে কথা বলতে নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। ফলে তৃপ্তি রানী ছেলেসহ তার পিতার বাড়িতে চলে যায়। চলতি বছরের ৮ মে সকাল ৯টার দিকে বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে ডাক্তার দেখানোর নাম কের তৃপ্তি রানী তার ছেলেকে নিয়ে চলে যায়। দীর্ঘদিন পার হলেও তৃপ্তি তার ছেলেকে নিয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। এরইমধ্যে একদিন তার মায়ের কাছে মোবাইল করে সৌমিক জানায় তৃপ্তি ছেলেসহ তার কাছে আছে। চিন্তার কোন কারণ নেই। এর দু’দিন পরে তৃপ্তি মায়ের কাছে আবারও ফোন করে বলে তাকে অনুসন্ধানে বেশি বাড়াবাড়ি করলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে। গত ২৩ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে তৃপ্তি নিজেই আবার তার মায়ের কাছে ফোন করে বলে যে মা আমাদের বাঁচাও। আমাদের অপহরণ করে ওরা আটক করে রেখেছে। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়।