নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হাতে আফজাল হোসেন খুনের ঘটনার দুইদিনেও মামলা হয়নি। পুলিশ জড়িতদের কাউকে আটকও করতে পারেনি। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা প্রক্রিয়াধীন ও জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্র মতে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সুজন ওরফে ট্যারা সুজন। এলাকায় তার প্রতিপক্ষ ছিলেন একাধিক মামলার আসামি আফজাল হোসেন। ট্যারা সুজনের বিরুদ্ধেও রয়েছে অর্ধডজন মামলা। বছর দেড়েক আগে আফজালের নেতৃত্বে ট্যারা সুজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছিল। তবে ওই সময় একজন জনপ্রতিনিধি ট্যারা সুজনের চিকিৎসাসহ সকল ধরণের সহযোগিতা দিতে চেষ্টা করেছিলেন। সেই থেকে ট্যারা সুজনের সেল্টার দিয়েছিলেন এক জনপ্রতিনিধি।
স্থানীয়দের ভাষ্য, সম্প্রতি আফজাল হোসেন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। তাকে কেউ হত্যা করতে পারে সেটা তিনি ভাবতে পারেননি। মাত্র ৬দিন আগে আফজাল হোসেনের ঘরে পুত্র সন্তান এসেছে। গত ২৯ মে রাত ৮টার দিকে সেই ছেলের জন্য দুধ কিনে বাসায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু চাতালের মোড়ে তার পিতার চায়ের দোকান থেকে মাত্র কয়েক গজ সামনে গেলেই ট্যারা সুজনের নেতৃত্বে তার উপর হামলা চালানো হয়। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পরপর দুইটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা পালিয়ে চলে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রমজান আলী জানিয়েছেন, পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থেকে ট্যারা সুজন ও তার সহযোগী পোস্টার বিল্লাল, জিন্নাত আলী, জাহিদ হোসেন, মোস্তাক, মিলনসহ ৮/১০ আফজাল হোসেনের চলনবিধি লক্ষ্য করছিলেন। তারা আফজাল হোসেনকে হত্যা করে সহজেই পালিয়ে চলে যায়।