নেংগুড়াহাট প্রতিনিধি: ক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছাতে কয়েক দফা হাত বদল হচ্ছে। ফলে সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুণ। বাজারে সবজির উচ্চদাম থাকলেও লাভবান হচ্ছে না কৃষক। মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফা লুটে নিচ্ছে। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ ও নেংগুড়াহাট বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির দাম নিয়ে কারসাজি করছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন ও শ্রমিক খরচের জন্য বাড়তি ব্যয় যোগ হচ্ছে সবজির দামে। এছাড়া চাষি থেকে হাত বদল হয়ে ক্রেতার হাতে পৌঁছতে পৌঁছতে দাম বেড়ে কয়েক গুণ হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার পাইকারি বাজারে সবজির দাম অনেক বেশি। কিন্তু সেই দামেও উৎপাদন খরচ উঠছে না কৃষকের। এতে অধিকাংশ চাষি লাভের মুখ দেখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
অনেক কষ্টে উৎপাদন করা সবজি বিক্রি করতে এসে দাম পাচ্ছেন না। আগাম শীতকালীন সবজিতে ভরপুর বাজার। ভোর থেকে কৃষকরা সবজি নিয়ে হাজির হচ্ছেন মোকামগুলোতে। ক্রেতারা চড়া দামে সবজি কিনে খেলেও তারা নায্যমূল্য পাচ্ছেন না। নেংগুড়াহাট বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সিরাজ জানান, তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। পাইকারী ব্যবসায়ীদেরও পরিবহণ ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে ক্রেতাদের হাতে সবজি পৌঁছানো পর্যন্ত অনেক খরচের কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজগঞ্জ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা চাষিদের কাছ থেকে বেগুন ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, কাঁচকলা ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়, পেঁপে ১০ থেকে ১৫ টাকায়, ফুলকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, পালং শাক ৭ থেকে ৮ টাকা, লাল শাক ৬ টাকা থেকে ৭ টাকা আটি দরে কিনে থাকি।
এদিকে রাজগঞ্জ ও নেংগুড়াহাট বাজারে সবজির মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে কেজি প্রতি বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, ফুলকপি ৫৫-৬০ টাকা, শিম ৬০-৬৫ টাকা, পাতা কপি ২০ টাকা, মূলা ১৫-২০ টাকা কেজি ও কাঁচামরিচ ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পালং শাক, লাল শাক ও সবুজ শাক ১০ টাকা আঁটি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
একই সবজি কয়েক হাত ঘুরে রাজগঞ্জ ও নেংগুড়াহাট বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। নেংগুড়াহাট এলাকার চাষি মশিউর রহমান জানান, সবাই কৃষক মারার কল পেতে রেখেছে। যত লোকসান সব চাষির ঘাড়ে। তেল, সার, কীটনাশকের দাম লাগাম ছাড়া। এভাবে কতদিন টিকব তারা জানেন না।
আরও পড়ুন: ওষুধ হিসেবে খাদ্যপণ্য বিক্রি যশোরে তিয়ানশিকে জরিমানা