নিজস্ব প্রতিবেদক
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বেড়েছে সবজির সরবরাহ। নতুন টাটকা সবজিতে ভরে গেছে বাজার, ফলস্বরূপ কমেছে দামও। কয়েক মাস ধরে অস্বস্তি ছড়ানো আলুর দামও বেশ কমেছে। বাজারে এই মুহূর্তে শীতকালীন সব সবজির দামই ভোক্তা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল আছে ডিমের দামও। তবে, অস্বস্তি বিরাজ করছে চাল, মুরগি ও মাছের বাজারে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) যশোর শহরের বড় বাজার, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও রেল বাজারসহ কয়েকটি এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দেখা যায়, শীতকালীন সবজির সরবরাহ অনেক বেড়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটো, বেগুনসহ বাকি সবজিগুলোও বিক্রি হচ্ছে বেশ সহনীয় দামে। প্রতি কেজি গোল ও লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি মুলা ১৫-২০ টাকা, পেঁপে ও শালগম ৩০-৪০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাধাকপি ১০-২০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৩০-৪০ টাকা ও কলার কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, শিম ২০ টাকা, শসা ও ক্ষিরা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর ২৫-৩০ টাকা ও টমেটো ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সেইসঙ্গে লালশাক, পালং শাক, কলমি শাক ও কুমড়া শাকসহ বিভিন্ন শাকের আঁটি মিলছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
স্বস্তি ফিরেছে আলুর দামেও। গত সপ্তাহে যে আলু ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের বাজারেও। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ৪৫-৫০ টাকা। তবে, রসুন এবং আদা এখনো কিনতে হচ্ছে চড়া দাম দিয়েই।
দেশি রসুন কেজি প্রতি ২৪০ টাকা ও ইন্ডিয়ান রসুন কেজি প্রতি ২২০ টাকা এবং চীনা আদা কেজি প্রতি ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে গত সপ্তাহের মতো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০-৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি ১০০০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে, চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে মুরগির বাজারে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৪০ টাকা দরে।
ভরা মৌসুমে ভেলকি দেখাচ্ছে চালের বাজারও। প্রতিকেজি স্বর্ণ চাল ৫০ টাকা কেজি, মিনিকেট ৭২ টাকা, কাজললতা ৬০ টাকা, বাসমতি ৯০ টাকা, আঠাশ ৬৫ টাকা, আতপ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভোক্তারা। ভরা মৌসুমে চালের এতো দাম হলে, সামনের রোজায় কী হবে? অভিযোগ করে অনেকে বলেন, বাজার মনিটরিং না থাকার কারণেই যাচ্ছেতাইভাবে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
বড় বাজার এলাকার দোকানদার আশিষ কর্মকার বলেন, প্রত্যেক চালের কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। আমরা যেমন দামে চাল কিনতে পারি তেমন দামে বিক্রি করি। এখন খোলা সয়াবিন তেল পাইকারি কিনছি ১৮২ টাকা কেজিতে। ৩ টাকা লাভে বিক্রি করছি ১৮৫ টাকা। বোতলজাত তেল বাজারে এখনও পুরোপুরি ভাবে সরবরাহ নেই।
হাটখোলা রোডের চাল বিক্রেতা অধীর অধিকারি বলেন, চালের দাম একেক দোকানে একেক রকম। চালের মানের উপর দাম নির্ভর করে। এখন যে দাম চলছে একই দাম বেশ কিছুদিন ধরে। খোলা চালের দাম একটু বেড়েছে। ২৫ কেজির বস্তা নিলে খুচরা বাড়তি দামের চেয়ে দাম কিছুটা কম হচ্ছে।
