নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে সমলোচনারমুখে অফিস সহকারীর মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করল যশোর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার ১৮টি অফিস সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় মাত্র একদিন আগের নোটিশে। রোববার পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছিল। যা নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। অভিযোগ ছিল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ মো. মহিদুর রহমান আগামী আগামীকাল ৮ জুন অবসরে যাচ্ছেন। আর হিসাব রক্ষক জয়নাল আবেদীন অবসরে চলে গেছেন। কিন্তু তারপরেও তিনি নিয়মিত অফিস করছেন। জয়নালের প্রেসক্রিমশনে কলেজের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুয়েল পরীক্ষার্থী প্রতি টাকা গ্রহণ করেছে লাখ লাখ টাকা। যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে তাদের পরীক্ষার সিট ফেলা হয়েছে যশোর মেডিকেল কলেজে। অন্যান্যদের আবদুর রাজ্জাক কলেজে পরীক্ষা নেয়া হয়। কলেজের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুয়েল এ কাজটি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে দৈনিক কল্যাণে সংবাদ প্রকাশ হলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। যেকারণে বাধ্য হয়ে প্রশাসনের নির্দেশে মৌখিক স্থগিত করা হয়েছে।
পলাশ সরকার নামে এক অভিভাবক জানান, আমার মেয়ে যশোর মেডিকেল কলেজের অফিস সহকারী পদে আবেদন করেছিল। সোমবার তার আবদুর রাজ্জাক কলেজে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছিল একদিন আগে। এভাবে পরীক্ষা নেয়া মানে কি হবে তা বোঝা যাচ্ছে। শুনেছি যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে তাদের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে যশোর মেডিকেল কলেজে।
যশোর মেডিকেল কলেজের হিসাব সহকারী জয়নাল আবেদীন জানান, আমি অবসরে চেলে গেছি। এমনি অফিসে যাতায়াত করে থাকি। কিন্তু অফিস সহকারী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমার কোন সম্পর্ক নেই।
এব্যাপারে যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: মো: মহিদুর রহমান জানান, ১৮টি পদে আবেদন করেছিলেন ৫ হাজারের বেশি চাকরি প্রার্থী। আমরা যাচাই বাছাই করে প্রবেশপত্র ইস্যু করেছি ২ হাজার ৬৭২ জনের। আগেই এদেরকে অবহিত করা হয়েছিল ৫ জুন পরীক্ষা হবে। এজন্য একদিন আগে প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছে। আর আমার অবসরের সাথে এই পরীক্ষা নেবার কোন সম্পর্ক নেই। যেহেতু টাকার নেবার অভিযোগ এসেছে, আমাকে নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে সেকারণে মৌখিক পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রেখেছি। পরবর্তীতে যিনি অধ্যক্ষ হবেন তিনি দেখবেন।

 
									 
					