কল্যাণ ডেস্ক: চলতি বছরের জুনেই পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে। এর পরপরই খুলে দেয়া হবে স্বপ্নের এই সেতুটি। তবে এরই মধ্যে সেতুর টোল প্রস্তাবনা নিয়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনা। টোল প্রস্তাবনায় ফেরি পারাপারের জন্য যে পরিমাণ টোল দিতে হচ্ছে যানবাহনকে, পদ্মাসেতুর জন্য টোল ধরা হয়েছে তার চেয়ে ঢের বেশি। টোলের এই হার নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা সেতুতে এত টোল দিতে হবে কেন। টোল দিতে হলেও সেটি ফেরির চেয়ে বেশি কেন?
তবে আশার কথা সেতু বিভাগ বলছে, টোলহারের প্রস্তাব চূড়ান্ত নয়। এটি প্রাথমিক প্রস্তাবনা। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেতু বিভাগ থেকে পদ্মাসেতুতে যানবাহন চলাচলের জন্য যে টোল হার প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে দেখা যায় মোটরসাইকেল পারাপারে টোল দিতে হবে ১০০ টাকা, যা ফেরিতে দিতে হয় ৭০ টাকা। কার ও জিপের টোল ধরা হয়েছে ৭৫০ টাকা (ফেরিতে ৫০০ টাকা), পিকআপের টোল ১২০০ টাকা (ফেরিতে ৮০০ টাকা), মাইক্রোবাসের জন্য ১৩০০ টাকা (ফেরিতে ৮৬০ টাকা)।
ফেরির তুলনায় সেতুতে কেন বেশি টোল দিতে হবে এ প্রশ্নের উত্তরে যুগ্ম সচিব বলেন, ‘একটি প্রস্তাব তৈরি করা হলেও সেটি নানা বিষয় মাথায় নিয়ে করা হয়। সেতু রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে নানা খরচ রয়েছে, সেগুলো মাথায় রাখতে হবে। এত বড় একটি সেতু, সেখানে সবকিছু মাথায় রেখে এবং সব বিষয় ঠিক রেখে কাজ করা হচ্ছে। যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চূড়ান্ত হয়ে আসবে, আশা করি তখন আর কোনো সমস্যা কিংবা সমালোচনা থাকবে না।’
সেতু বিভাগের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘৩০ জুনের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সেতুর সব কাজ শেষ করার কথা জানিয়ে দিয়েছি। সেজন্য টোল আদায় করা এবং টোল আদায়কারী ও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই কাজটি পেয়েছে কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন (কেইসি) ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)। আশা করা হচ্ছে— জুলাই থেকে সেতুতে টোল দিয়ে যানচলাচল শুরু হবে।’