কল্যাণ রিপোর্ট:
‘অসাম্প্রদায়িক ঐক্যেই হোক স্বদেশ উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্যে যশোরে শুরু হয়েছে দু’দিনের নাট্যমেলা। ‘যা বলার তা বলবোই’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপনে তির্যক যশোরের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ উৎসব’র অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ মেলা শুরু হয়। মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সায়েমুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পিটিআই যশোরের সুপার আতিয়ার রহমান ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু। সভাপতিত্ব করেন তির্যক যশোরের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দাস রতন। স্বাগত বক্তব্য দেন তির্যক যশোরের নাট্য সম্পাদক আলমগীর হোসেন বাবু। অতিথিবৃন্দ সমৃদ্ধ ও মানবিক দেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে বেশি বেশি সংস্কৃতি চর্চার আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে ঢাকার ‘আহির বাংলা’ নাট্যদলের প্রযোজনায় ‘রূপচান সুন্দরীর পালা’ ও বিবর্তন যশোরের প্রযোজনায় ‘পাইচো চোরের কেচ্ছা’ নাটক মঞ্চস্থ হয়। বুধবার এ নাট্যমেলার সমাপনী দিনে তির্যক যশোরের প্রযোজনায় ‘আগন্তুক’ ও থিয়েটার ঢাকার প্রযোজনায় ‘নিখাই’ নাটক মঞ্চস্থ হবে।
ষোলবছরের কন্যা রূপচান সুন্দরী। ষোলটা বছর পার করলো একটাও মনের মানুষ মিললো না। তাই একদিন প্রিয় সখীকে নিয়ে গাঙের পাড়ে মনের কথায় গান বাধলো রূপচান সুন্দরী, গাঙের ওই ফুরুফুরা বাতাস উদাস ও করিয়া রে বন্ধু আমার আছে কোন দেশে। পালাকার সাইক সিদ্দিকীর কন্ঠে ও অভিনয়ে যেন বাস্তব রূপচান সুন্দরী।
দেশের অন্যতম পালাকার সাইক সিদ্দিকী ও তার দলের পরিবেশনায় মুগ্ধ হয়েছে দর্শক শ্রোতা। বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপনে তির্যক যশোরের আয়োজনে ঐতিহাসিক টাউনহল ময়দানে ‘বাংলাদেশ উৎসব’ হয় ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর। উৎসবের উদ্বোধনী দিনে গোল্লাছুট ও হাডুডু প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। এছাড়া গুণীজন সংবর্ধনা প্রদানসহ দেশাত্ববোধক, বাউল, জারি ও পালাগান পরিবেশিত হয়।