নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে যশোরে পদযাত্রা পূর্বক সমাবেশে দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মানেই সরকারের পতন। তাই সরকার নিজের পতন ঠেকাতে বেগম খালেদা জিয়াকে পাতানো মামলায় প্রহসনের বিচারে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে এক দফার আন্দোলনে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ ঐক্যবদ্ধ। সেই গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে আজকে ৭৮ বছর বয়সেও তাকে সরকার কারারুদ্ধ করেছেন।
দলীয় প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে শনিবার জেলা বিএনপির আয়োজনে শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়। পদযাত্রা পূর্বক জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। 
এসময় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়ে বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে এশিয়ার ইমাজিং টাইগার হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। পরবর্তী ২০০১ সালে জনগণের রায়ে আবারও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে তিনি দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছিলেন। কিন্তু দেশ বিদেশে চক্রান্তর ফলে ১/১১ অসাংবিধানিক সরকার বিরাজনীতি করণের লক্ষ্যে বেগম খালেদা জিয়ার নামে দুর্নীতির কাল্পনিক অভিযোগ এনে ৫ টি মামলা দায়ের করে। সেই অসাংবিধানিক সরকার আজকের প্রধানমন্ত্রীর নামেও ১৫টি মামলা দায়ের করে। কিন্তু তারা সেদিন ১/১১ অসাংবিধানিক সরকারের সাথে আঁতাত করে ক্ষমতায় এসে নিজেদের পছন্দের বিচারক নিয়োগ করে। সেই বিচারক দিয়ে নিজেদের মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেয়। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের নামে দায়েরকৃত মামলার কার্যক্রম বিদ্যুতের গতিতে চলতে থাকে। আর সেই মিথ্যা মামলায় সরকার দেশের জনপ্রিয় নেত্রীকে কারাবন্দি করে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। গণতন্ত্রকামী মানুষ তাদের নেতৃকে মুক্ত করে আনবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ূব, আবুল হোসেন আজাদ, জেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, মিজানুর রহমান খান, অভয়নগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারাজী মতিয়ার রহমান, যশোর নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম, শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুজ্জামান মধু, বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মশিউর রহমান, কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, মণিরামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রাশিদা রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা প্রমুখ।
পরে প্রধান অতিথি অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিটি দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে রেল রোড, চৌরাস্তা মোড়, আর এন রোড, মণিহার এলাকা হয়ে যশোর-খুলনা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল মুন্নি, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. মো. ইসহক, গোলাম রেজা দুলু, মো. মুছা, আব্দুস সালাম আজাদ, মিজানুর রহমান খান, শরফুদ্দৌলা ছোটলু, মারুফুল ইসলাম, অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু প্রমুখ।
