সাড়াতলা (শার্শা) প্রতিনিধি: শীত মৌসুমের শুরুতে মাঠে মাঠে সরিষার ক্ষেতে হলুদ ফুলে ভরে গেছে। সরিষার হলুদ ফুল যেন প্রকৃতি নব সাজে সেজেছে। ফুলের সুভাস যেমন মানুষকে বিমোহিত করছে তেমনি মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা মৌমাছি। এক ফুল থেকে অন্য ফুলে মধু সংগ্রহে তাই এই মূহুর্তে মৌমাছি দল বেধে মাঠের পর মাঠ জুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছে। এমন দৃশ্য এখন যশোরের শার্শার প্রতিটি মাঠে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর শার্শা উপজেলায় ৫ হাজার ৮ শত ৮০ হেক্টর জমিতে বারি ১৪,১৭,১৮ এবং বিনা ৪ ও ১০ জাতের সরিষার চাষ হয়েছে। গত বছর উপজেলায় ৪ হাজার ৪ শত ৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল।
উপজেলার রামচন্দ্রপুরের লতিফ, শিকারপুরের ছলেমান, ডিহির কানু মিয়া, শালকোনার রফিকুল ও ইয়াছিন, দরিদূর্গাপুরের আসাদুল, সেন্টু ও নূর ইসলাম, গৌকর্ণের জামারুল, কানাইনগর গ্রামের আনোয়ারসহ বেশ কয়েকজন সরিষা চাষির সাথে কথা বলে জানা যায়, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত সরিষা চাষ করা যায়। সরিষা চাষে সেচ ও রাসায়নিক সার কম প্রয়োজন হওয়ায় খরচও বেশ কম।
এছাড়াও সরিষার পাতা জমিতে পড়ে সবুজ সার তৈরি হয়, যা বোরো চাষে জৈব সারের চাহিদা মেটায়। এ বছর বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি জমে থাকা নিচু জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে বেশি। এ ছাড়া আমন ধানের জমিতেও বিনা চাষে বীজ ছড়িয়েও চাষ করা হয়েছে। পরিবারের তেলের চাহিদা পূরণসহ স্বল্পমেয়াদি ও লাভজনক হওয়ায় সরিষা চাষে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর উপজেলায় ১ হাজার ৪ শত হেক্টর জমিতে সরিষার বেশি আবাদ হয়েছে। সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সাড়ে ৪ হাজার কৃষকদের মধ্যে ১ কেজি সরিষার বীজ ও ২০ কেজি প্রণোদনার সার বিতরণ করা হয়েছে।