কল্যাণ ডেস্ক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের সময় দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে। সেটি না করে দ্রুত আমরা বিচার চাই। শুক্রবার ডিআরইউ প্রাঙ্গণে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু।
সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, দুজন সাংবাদিককে এক দশক আগে হত্যা করা হয়েছে। তাদের হত্যাকারীদের এখনও গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ জানাচ্ছি। সরকার চাইলে সারা দেশের মানুষের প্রত্যাশার বিচার দ্রুত শেষ হবে।
ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলাম খান তপু বলেন, ২০১২ সালের এ দিনে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি খুন হন। ওই বছর আমাদের প্রতিবাদের বছর ছিল। সারা দেশে দলমত নির্বিশেষে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল সেটির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এ ডিআরইউ। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা সেই বিচার পাইনি। দ্রুত বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক হেলাল, সাবেক অর্থ সম্পাদক রাশেদ আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া, কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, মানিক লাল ঘোষ প্রমূখ।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে এবার ডিআরইউ তিনদিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যার প্রথমদিন ছিল মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়। আজ শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করবে ডিআরইউ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। তখন বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ।
হত্যাকান্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে এবারও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ৮৫ বারের মতো পিছিয়েছে। পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।