নিজস্ব প্রতিবেদক, মনিরামপুর :
যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের বৈকালিক চেম্বারে রোগীর সাড়া মেলেনি। গত তিন দিনে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চেম্বারে রোগী হয়েছে মাত্র ৬ জন। তারমধ্যে আজ সোমবার চিকিৎসা নিয়েছে ৩ শিশু। রোববার নিয়েছেন এক জন রোগী। আর উদ্বোধনী দিন অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার রোগী ছিল দুজন।
হাসপাতালের তালিকা অনুযায়ী এ তিন দিনে হাসপাতালের চেম্বারে বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত রোগী দেখেছেন ৮ চিকিৎসক। এরমধ্যে আজ সোমবার বিকেলে চিকিৎসক ছিল ৩ জন। যদিও বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে হাসপাতালে ১ জন চিকিৎসক পাওয়া গেছে।
সোমবার সরেজমিন ৫ টার পর মনিরামপুর হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়ে জানা গেছে বৈকালিক চেম্বারে দায়িত্বে রয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ জেসমিন সুমাইয়া, ডা. রাফেজা খাতুন ও ডা. রঘুরাম চন্দ্র। এ সময় জেসমিন সুমাইয়া ও ডা. রাফেজা খাতুনকে চেম্বারে পাওয়া যায়নি। আর ডা. রঘুরাম চন্দ্রের কক্ষ ভেতর থেকে ছিটকিনি বন্ধ দেখা গেছে। তিনি ১১৭ নম্বর কক্ষে রোগী দেখার জন্য অবস্থান করছিলেন।

চিকিৎসকদের অবস্থান জানতে চাইলে বাইরে দায়িত্বরত সহকারী শাহানাজ খাতুন বলেন, শিশু বিশেষজ্ঞ জেসমিন সুমাইয়া ১২৫ নম্বর কক্ষে আজ তিনটি রোগী দেখেছেন। এছাড়া আজ আর কোন রোগী আসেনি। রোগী না থাকায় ম্যাডাম কিছুক্ষণ আগে বেরিয়ে গেছেন। পরে আমি গিয়ে তাঁর কক্ষের দরজার ছিটকিনি দিয়ে এসেছি। ডা. রঘুরাম কক্ষে আছেন। আর ডা. রাফেজা জরুরি বিভাগে ডিউটি করছেন।
এ সময় সংকেত পেয়ে ভেতর থেকে ছিটকিনি খোলেন ডা. রঘুরাম চন্দ্র। দরজা বন্ধের কারণ জানতে চাইলে রঘুরাম চন্দ্র বলেন, রোগী না থাকায় ভেতরে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। ক’টা রোগী দেখেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ কোন রোগী আসেনি।
আরও পড়ুন:ঈদ নির্বিঘ্ন করতে কঠোর অবস্থানে যশোর পুলিশ
নির্ধারিত সময়ের আগে চিকিৎসক চেম্বার ছাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চিকিৎসকরা বৈকালিক চেম্বারে ডিউটি করার কথা। ডা. জেসমিন সুমাইয়া ৩টি রোগী দেখেছেন। রোজার দিন হওয়ায় আর রোগী না থাকায় তিনি আমাকে জানিয়ে চলে গেছেন।
তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ডা. রাফেজা জরুরি বিভাগে দায়িত্বে আছেন। তাঁকে অতিরিক্ত রাখা হয়েছে। চেম্বারে রোগীর চাপ বাড়লে তিনি সেটা সামাল দেবেন।
বৈকালিক চেম্বারে রোগীর সাড়া না পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, রমজান মাস চলায় সাধারণত বিকেলে মানুষ বাইরে বের হতে চাননা। তাছাড়া প্রচার প্রচারণার দরকার। আমরা মঙ্গলবার থেকে পৌরশহরে মাইকিংয়ের প্রস্তুতি নিয়েছি। কিছু ব্যানার করা হয়েছে। সেগুলো বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:অনুমোদন না নিয়ে খাদ্য বিক্রি, জরিমানা ৬০ হাজার