মোতালেব হোসন, যবিপ্রবি
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে পরিচিত সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের স্বামী সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর এফ এম সাইফুল ইসলামকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রো-ভিসি বানানোর চেষ্টা চলছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তিনি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতা এবং ক্রপ বোটানি এন্ড টি প্রোডাকশন টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে রাতের ভোটের মূল কারিগর ছিলেন। যার পুরস্কার স্বরূপ পরবর্তীতে তাকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। চাকরি শেষে আবারো পুরুস্কার হিসেবে শেখ হাসিনা তাকে পাবলিক সার্ভিস
কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। জুলাই বিপ্লবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেই গত বছরের ৮ অক্টোবর ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমকে পিএসসির সদস্য থেকে বরখাস্ত করে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী শাসন আমলে ২০১২ সালে স্ত্রী ড. নাজমানারা খানুমের লবিংয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন ড. সাইফুল। তিনি সিক্ বিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গনতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতা ছিলেন। আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের প্যানেল থেকে দুই দুইবার সিকৃবির সিন্ডিকেট সদস্য (২০১৪-১৬ ও ২০২২-২৪ সাল) নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়াও ২০১৫-২০১৭ সালে কৃষি অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন ড. সাইফুল।
তার আপন ভায়রাভাই ডক্টর কে এম দেলোয়ার হোসেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায়। জুলাই ২৪ বিপ্লব নিয়ে কটুক্তিসহ তার বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্টের সহযোগী হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি এখনো বলে বেড়াচ্ছেন আপা (শেখ হাসিনা) দ্রুতই দেশে ফিরবেন এবং জুলাই বিপ্লবের সমন্বয়কারীসহ আন্দোলনের সমর্থকদের শায়েস্তা করবেন। উপ-উপাচার্য হিসেবে ডক্টর সাইফুলের নাম প্রস্তাব হওয়ায় যবিপ্রবতে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছে কোন ফ্যাসিস্ট ও তার সহযোগীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: যশোরে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে আ. লীগের ১৫ নেতাকর্মী আটক

 
									 
					