কল্যাণ রিপোর্ট:
যশোর শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার যুবক সাব্বির হোসেনকে হত্যার অভিযোগে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে নিহতের মা মাসুরা খাতুন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৯/১০ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
আসামিরা হলো শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার নূরনবী মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মুসা, মৃত লিয়াকতের বাড়ির ভাড়াটিয়া মনিরুল প্রকাশ মনি, মৃত লিয়াকতের টিনসেডের ভাড়াটিয়া এনামুল হোসেন এনা, রায়হান, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার সুইট, শংকরপুর ছোটনের মোড়ের বুলেট সাগর ও জিরো পয়েন্ট এলাকার তানভীর।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, তার দুই ছেলে রাব্বি ও সাব্বির। দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি নিজে রাত ৩টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শংকরপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের উত্তরপাশে ইজিবাইক স্টান্ডে মণিহার রোডের একটি দোকানে চা, পুরিসহ বিভিন্ন খাবার তৈরি ও বিক্রি করেন। গত ১৯ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাব্বিরের মোবাইল ফোনে একটি কল আসলে কথা বলে অল্প সময়ের জন্য বাইরে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এলাকার ছোট একটি ছেলে দৌড়ে এসে জানায় কারা যেন সাব্বিরকে মারছে। এ সময় সাব্বিরের মা ও ভাই দৌড়ে শংকরপুর টার্মিনালের পাশে জনৈক হাজী শহিদুল ইসলামের মাহিন্দ্র ও ইজিবাইক গোডাউনের গেটের কাছে যেয়ে দেখেন মুসা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করছে। পাশাপাশি মুসার সাথে থাকা লোকজনও সাব্বিরকে ছুরিকাঘাত করছে। এরপরে সাব্বিরের মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত সাব্বিরকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আসামিদের নাম ঠিকানা জোগাড় করে তিনি থানায় এ মামলা করেছেন। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কেউ আটক হয়নি বলে জানা গেছে।