মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গেছে টেকসিটি
চুক্তিবদ্ধ ২৬টি কোম্পানি ব্যবসা গুটিয়েছে, অবশিষ্ট ৭টির রুগ্ন দশা
টিকে থাকতে পার্ক এখন ‘হোটেল এন্ড রিসোর্ট’
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক যশোরের ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ রোববার। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে এই পার্ক স্থাপিত হলেও তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। একটি মাত্র বিদেশি কোম্পানি এই পার্কে জায়গা বরাদ্দ নিলেও গত দু’বছর আগে সেটিও ব্যবসা গুটিয়ে পার্ক ছেড়েছে। শুধু তাই-ই না; বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে প্রথমদিকে চুক্তিবদ্ধ ৩৩টির মধ্যে ২৬টি কোম্পানি ব্যবসা গুটিয়ে পার্ক ছেড়েছে। অবশিষ্ট যে ৭টি কোম্পানি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অধিকাংশই রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে। এদিকে, আইসিটি শিল্পের বিকাশ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে পার্কটির পথচলা শুরু হলেও সেই মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গেছেন দায়িত্বে থাকা কোম্পানি টেকসিটি। টিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বার্থরক্ষা করতে যেয়ে পার্কটিতে চাকরি মেলা, বিয়ে-বৌভাতের মতো অনুষ্ঠান করে পরিবেশ নষ্ট করছে। নিজেদের লোকসান ঠেকাতে পার্কের তিন তারকা মানের ডরমেটরিটিতে চালু হয়েছে ‘হোটেল এন্ড রিসোর্ট’।
২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পার্কের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর ‘অসম চুক্তির’ মাধ্যমে সরকার টেকসিটি নামে একটি কোম্পানিকে পার্কটি দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর বিনিয়োগকারীদের সাথে টেকসিটি কর্তৃপক্ষের বিরোধ বাড়তে থাকে। নতুন করে টেকসিটি অন্তত ৩০টি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু জায়গা ভাড়ার বিষয়ে কোনো ধরণের নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। এখন একই পার্কে ১৭ টাকা ২৬ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৯ টাকা পর্যন্ত প্রতি বর্গফুটের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। একেকটি কোম্পানির কাছ থেকে একেক ধরণের ভাড়া আদায় করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ বিলের বিষয়েও বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ রয়েছে, গড়ে ১৫ টাকা ইউনিট হিসেবে বিল আদায় করছে টেকসিটি। অথচ বিদ্যুৎ বিলের সরকারি ব্যবসায়িক রেট সর্বোচ্চ ১০ টাকা বলে জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্কে সরেজমিনে গিয়ে বিনিয়োগকারী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কোম্পানি টেকসিটির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পার্ক স্থাপনের শুরুতে বিনিয়োগকারীরা সরকারের বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে জায়গা বরাদ্দ নেন। ওই চুক্তিতে পার্ক ব্যবস্থাপনার জন্যে তৃতীয় কোনো কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে- এমন কথা বলা নেই। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরেই বিনিয়োগকারীরা জানতে পারেন টেকসিটি নামে একটি কোম্পানিকে পার্কের জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার এখতিয়ারসহ ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে চুক্তির মাধ্যমে টেকসিটিকে দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই চুক্তিটিও অসম। কারণ, জনগণের টাকায় স্থাপিত পার্কের আয়ের মাত্র ১৮ শতাংশ পাচ্ছে সরকার ও ৮২ শতাংশ নিচ্ছে টেকসিটি কর্তৃপক্ষ। অথচ শুরুতে এই পার্কে টেকসিটির কোনো বিনিয়োগই নেই। পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, ৪০টির মত কোম্পানি বর্তমানে অপারেশনে রয়েছে। যদিও টেকসিটি কর্তৃপক্ষের দাবি ৫৯টি কোম্পানি জায়গা বরাদ্দ নিয়ে কাজ করছে। এরমধ্যে মাত্র ১০টি কোম্পানি সফটওয়্যার তৈরি বা বিপণন নিয়ে কাজ করে। অবশিষ্ট কোম্পানিগুলো ই-কমার্স, কল সেন্টার, ইন্টারনেট সেবাদানকারী, ডিজিটাল মার্কেটিংসহ বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকসিটির মহাব্যবস্থাপক (জেনারেল ম্যানেজার) শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী তিন ধরণের প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেগুলো হলো তথ্য প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি (ইএস), তথ্য প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউট সোর্সিং)। বর্তমানে পার্কে ১০টি সফটওয়্যার কোম্পানি রয়েছে।’ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোন বেশি ভাড়া বা বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হয় না। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পর ভাড়া বৃদ্ধি করে এই পর্যায়ে এসেছে। আইটি পার্কের সমস্যা ও বিনিযোগকারীদের সকল অভিযোগ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ অবহিত।
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানিগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ২৬টি কোম্পানি ব্যবসা গুটিয়ে পার্ক ছেড়ে চলে গেছে। এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা বলেন, দক্ষ জনশক্তির অভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া এই পার্কে যে ধরণের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিলো, বাস্তবে তার কিছুই নেই। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবার একাধিক লাইন থাকার কথা ছিলো, কিন্তু তা নেই। বিদ্যুৎ বিল মাত্রাতিরিক্ত। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে বাইরে আইটি পার্ক স্থাপিত হলেও সেই তুলনায় ভাড়া বেশি। তাছাড়া দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে। যে কারণে ওই ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে পারেনি।
বিনিয়োকারীরা জানান, এই পার্কে ৬০০ থেকে ৭০০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে ছয় বছরের অধিক সময় চাকরিরত কর্মীর সংখ্যা ১৫০ জনের বেশি না। বেশির ভাগ কর্মী আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকেন। ই-কমার্স ও কল সেন্টারে বেশি কর্মী কাজ করেন। তাদের বেতন ১০ হাজারের নিচে। যে কারণে তিন থেকে ছয় মাসের বেশি ওই কর্মীরা টিকছে না। ফলে আইটি খাতের দক্ষ জনশক্তি এখানে তৈরি হচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বিনিয়োগকারী বলেন, পার্কের ক্যাফেটেরিয়া ভবনে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মিলনায়তন রয়েছে। সেখানে প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মশালা-সেমিনারের বদলে বিয়ে-বউ ভাতের অনুষ্ঠান বেশি হয়। যে কারণে পার্কের প্রযুক্তি ভিত্তিক পরিবেশ থাকছে না। টেকসিটি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের অত্যন্ত ৫০টি অনুষ্ঠান হয়েছে। এরমধ্যে বিয়ে-বউ ভাতের মত অনুষ্ঠান এছাড়া চাকরি মেলাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানও হয়েছে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সফটওয়্যার, এনোমিশন, গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করার জন্য এনিমেক্স এনোমিশন স্টোডিও নামে একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান পার্কটির ১৩ তলায় সাড়ে ৭শ’ স্কেয়ার ফিট জায়গা নেন। প্রায় সাড়ে তিন বছর পার্কটিকে কাজ করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি লোকসানে পার্কটির জায়গা ছেড়ে দেন। এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে যশোরের একটি বাসাবাড়িতে তার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শেখ মেহেদী হাসান শুভ বলেন, ‘পার্কটির প্রধান সমস্যা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলের। অযৌক্তিক বিল তারা চাপিয়ে দিতো। পার্কটিতে যে ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কাজ করছি; তার চেয়ে অনেক কম ভাড়া-বিলে শহরের যেকোন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভালোভাবে কাজ করা যায়। আইটি পার্কটি বর্তমানে টিকে আছে বিভিন্ন কলসেন্টারের উপরে। ওখানে দু’একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কেউ সফটওয়্যার ভিত্তিক কাজ করে না। পার্কটি সরকারের একটি নান্দনিক বিন্ডিং ছাড়া ওখানে কিছুই নাই। সফটওয়ার-প্রযুক্তি ভিত্তিক কাজ করবে বিনিয়োগকারীরা, এমন সহযোগিতা আইটি পার্ক কর্তৃপক্ষ করে না। ফ্রিডম ফাইটার আইটির ডিজিএম মিকাইল হোসেন বলেন, দেড় বছর কাজ করার পরে ঢাকাতে চলে যেতে হয়েছে। মূলত যে কাজে পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছিলো; সেটি ওখানে হয় না। ওখানে পরিবেশের কারণে ভালো কোন ডেভেলপার যেতে চাই না। নেওয়ার আগে কর্তৃপক্ষ যেসব অঙ্গিকার করেছিলেন সেটি তারা রাখতে পারেনি। তাই দিনকে দিন লোকসানের মুখে পড়ে পার্কটি ছেড়ে যেতে হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা জানিয়েছেন, পার্কের ভিতরে সরকারি ডিজাস্টার রিকোভারি ডাটা সেন্টার নামে একটি স্থাপনা রয়েছে। ওই সেন্টারের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ ওই সেন্টার বিদ্যুৎ বিল বিনিয়োগকারীদের ঘাড়ে ফেলানো হয়।
পার্কটির ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসান কবির বলেন, ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে তুলনামূলক ভাড়া বেশি। এছাড়াও আমরা সর্বোচ্চ রেটে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে থাকি। এই বিদ্যুৎ বিল কমানোর বা বিলটা বিশেষ শিল্পজোনের আওতায় আনার জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি দেশের প্রথম আইটি পার্ক। ফলে সবকিছুতেই মডেল হতো পারতো এটি। কিন্তু সরকার সেইভাবে মনোযোগ দেয়নি। মনোযোগ দেয়নি বলে সিলিকন ভ্যালির স্বপ্ন ম্লান হয়েছে। দেশের প্রথম আইটি পার্কের লক্ষ্য বাস্তবায়ন না হওয়াতে নতুন করে এই সেক্টরে বিমুখ হচ্ছেন তরুণ-তরুণীসহ বিনিয়োগকারীরা।
টিকে থাকতে পার্কে ‘হোটেল এন্ড রিসোর্ট’ :
টিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বার্থরক্ষা করতে যেয়ে পার্কটিতে চাকরি মেলা, বিয়ে বৌভাতের মতো অনুষ্ঠান করে পরিবেশ নষ্ট করছে। নিজেদের লোকসান ঠেকাতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পার্কের তিন তারকা মানের ডরমিটরিটিতে চালু হয়েছে ‘হোটেল এন্ড রিসোর্ট’। ডরমিটরিটি খান প্রোপাইটিস নামে কোম্পানির কাছে ১০ বছরের জন্য চুক্তিতে হোটেল এন্ড রিসোর্টের যাত্রা করেছে। এর ফলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি পার্কটির পরিবেশ আরো নষ্ট করেছে বলে মত বিনিয়োগকারীদের।
খান প্রোপাইটিসের প্রজেক্ট ম্যানেজার আল বাকির সম্প্রতি বলেন, যশোর একটি হার্ব। পার্কটিকে সুন্দর একটা বিল্ডিং থাকলেও আধুনিক সুযোগ সুবিধা এখানে ছিলো না। একই সাথে ম্যানেজমেন্টটাও। ফলে এটা আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। হাইটেক পার্কে ডরমিটরিটি এখন আমরা হোটেল ও রিসোর্ট করছি। পার্কের বিভিন্ন পরিবেশ ও পুকুরটি সংস্কার করে রিসোর্ট করা হয়েছে। আপাতত ১০ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক অংশীদারির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করা হবে। এই বিষয়ে টেকসিটির মহাব্যবস্থাপক (জেনারেল ম্যানেজার) শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, ‘ডরমিটরিটি বাইরের লোকদের ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত ভাড়া। কিন্তু এখানকার বিনিয়োগকারীদের হাইটেকের নির্ধারণ করা ভাড়াতেই নেওয়া হয়। এছাড়া অডিটোরিয়ামসহ সবকিছু সুবিধা অন্যান্য বাইরের চেয়ে বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
যা বলছে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ :
এই বিষয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি লিখিত বক্তব্য দেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে পার্কটিতে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫শ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এখানে ১২টি স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। কাজেই বলা যায় সরকার যে লক্ষ্য নিয়ে এই পার্ক স্থাপন করেছে বিগত ছয় বছরে তা অনেকাংশেই বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে একটি আইসিটি ইকোসিস্টেম পরিপূর্ণরূপে কার্যকর হতে আরো সময় লাগে। এই পার্ক থেকে যেন যশোরসহ পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ শতভাগ সুফল পায় সে লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। তদুপরী বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ ঢাকা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিনিয়োগে অধিক আগ্রহী হওয়ায় যশোরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে হয়তো তাদের আগ্রহের কিছুটা কমতি আছে। তাই বলে যশোরে অনেক স্পেস খালি পড়ে আছে এমনও নয়। অনেক দেশীয় আইটি প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোক্তারা এই পার্কে কাজ করছে। তিনি জানান, কেবল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতেই এই পার্ক স্থাপন করা হয়েছে এমনটা কখনো বলা হয়নি। কর্তৃপক্ষ সকল পার্কেই বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কাজ করছে। এজন্য ১৪টি প্রণোদনা সুবিধাসহ ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে ১৪৮টি সেবা দিচ্ছে। পার্ক দেশের আইটি পার্কগুলোর জন্য একটি রোল মডেল বলেই কর্তৃপক্ষ মনে করে। এই পার্ক ‘রোল মডেল হতে পারলো না’ এমন কোনো অনুসিদ্ধান্ত বা সার্ভে রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। চাকরি মেলা আয়োজন করার মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। কাজেই পার্কে চাকরি মেলার আয়োজনে কর্তৃপক্ষ কোনো সমস্যা দেখে না।