নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা পরিষদ সড়কের জীবিত গাছ মৃত দেখিয়ে কেটে ফেলেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার সরেজমিনে জানা যায়, সদরের সুজলপুর জামতলা মোড় সংলগ্ন আবুল কাশেম রতন বিশ্বাসের মেয়ে রাহেলা আক্তার ডলির বাসার সামনে একটি জীবিত গাছ কাটা হয়েছে। এর আগে দুইটি গাছ কেটে রাখা রয়েছে। তিনটিই কড়ই গাছ। জীবিত গাছ মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে কেটে ফেলার সময় স্থানীয়দের জনরোষে পড়েন গাছ কাটা শ্রমিকরা। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ ও জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার উপস্থিত হন।
আরিফুল ইসলাম, নূর ইসলাম, রিপন গাজীসহ একাধিক স্থানীয় জানান, আগে জায়গাটিতে পথচারীদের ছায়া দিয়ে রাখতো গাছগুলো। দুইটি গাছের অনুমতি নিয়ে তিনটি গাছ কাটছে। যার কারণে তাদের এগিয়ে আসা। দায়িত্বরত জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আল-আমিন জীবিত গাছগুলো মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে কেটে ফেলার অনুমতি দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
সার্ভেয়ার আল-আমিন ঘটনা স্বীকার করে বলেন, কাগজে দুইটি গাছের কথা উল্লেখ আছে। দুইটি গাছই নিধন করা হচ্ছে। তবে গাছের তিনটি দেখানো হলে তিনি বলেন, এটি গাছ না মৃতগুলো ছিলো। তা সমান করে কাটা হয়েছে। তার কোনো দোষ নেই। বিপদজ্জনক হওয়ায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীর অনুমোদন নিয়ে গাছ দুটি কাটা হয়। এছাড়াও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল বিষয়টি জানেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল বলেন, স্থানীয় এক নারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সার্ভেয়ার আল-আমিনকে সরজমিনে গিয়ে দেখে তারপর ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব দেয়া ছিলো। দুইটির জায়গায় তিনটি ও জীবিত গাছ কাটা হচ্ছে কিনা এটা আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন:যশোরে নির্মাণাধীন ভবন ঘিরে মৃত্যুঝুঁকি