শ্যামনগর প্রতিনিধি :
পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নূরুল আলম কতিপয় দালালদের মাধ্যমে সুন্দরবনের মায়াবি হরিণ, মূল্যবান কাঠ নিধন ও সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছেন। কাঁকড়া প্রজননকালীন সময় হওয়ায় প্রতিবছর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাস সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণ সরকারিভাবে বন্ধ থাকায় এই ২ মাস কাঁকড়া আহরণের পারমিট বন্ধ রয়েছে।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কয়েকটি খাল সরকারিভাবে মাছ কাঁকড়া প্রজনন এলাকায় হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। উক্ত খাল গুলিতে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ তো দূরের কথা জেলে নৌকা প্রবেশও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ বুড়ি গোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা দালালদের মাধ্যমে প্রতি গোনে (১৫) দিনে নৌকা প্রতি মোটা অংকের টাকা নিয়ে মাছ ও কাঁকড়া আহরণের সুযোগ দিচ্ছেন। জেলেদের কাছে স্টেশন কর্মকতার পক্ষ থেকে একটা সংকেত চিহ্ন দেয়া থাকে, যা দেখে বন টহল ফাড়ির সদস্যরা বুঝতে পারে। ২৮ জানুয়ারি সকালে কলবাড়ী বাজার থেকে ছবিটি ক্যামেরা বন্দি করার সময় ভ্যানওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন কাঁকড়াগুলো নীলডুমর আলাউদ্দিন মার্কেট থেকে আমার ভ্যানে উঠিয়ে দিয়ে কলবাড়ি বাজারে আনার কথা বলেছে।
এ বিষয়ে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আমিনের মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন। সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষকের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করলেও ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বন বিভাগের সিসিএফ, সিএফ সহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শ্যামনগরের সুধীজন।