কল্যাণ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করতে ১৮৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য এ পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে বরাদ্দ দেওয়ার আগে বেশকিছু তথ্য চেয়ে বিএসএমএমইউর ভিসিকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব (বাজেট শাখা) মো. শহীদুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিএসএমএমইউতে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ হলেও পূর্ণাঙ্গরূপে চালু ও পরিচালনা করতে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য ১৮৪ কোটি ৯২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের জন্য বেশকিছু তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করা গেল।
চিঠিতে যেসব তথ্য চাওয়া হয় তার মধ্যে রয়েছে—স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের জন্য জনবলের পদ সৃজনের কপি, প্রতিষ্ঠানটির জনবলের বেতন কাঠামো অনুমোদনের কপি, প্রতিষ্ঠানের পৃথক অর্গানোগ্রাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে জনবল নিয়োগের অনুমোদনের কপি, জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির কপি, জনবল নিয়োগের আগে বিদ্যমান মালপত্র ইনভেনটরি করা হয়েছে কী এবং প্রেরিত বাজেট বিবরণীর প্রতিটিতে প্রস্তুতকারী ও পরিচালকের স্বাক্ষর।
জানা যায়, বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে গত ২২ নভেম্বর দুপুরে হাসপাতাল ভবন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার আলী খান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে ভবন বুঝিয়ে দেন। এর আগে ১৬ নভেম্বর ঠিকাদারি ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এইচডিসি-সানজিনের কাছ থেকে হাসপাতাল ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা বুঝে নেন হাসপাতাল রিসিভিং কমিটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
২৭ ডিসেম্বর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ১৪টি বিভাগের ওপিডি চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পরে হাসপাতালের ইনডোর চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হবে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একনেকে বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালটি বাংলাদেশ সরকার, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এবং বিএসএমএমইউ নির্মাণ করে। হাসপাতালটির ৯টি ফ্লোর ও ৩টি বেজমেন্ট রয়েছে। ৭৫০ শয্যার এ হাসপাতালে ১০০টি আইসিইউ বেড, ১০০টি ইমার্জেন্সি বেড, ভিভিআইপি, ভিআইপি কেবিন, আইসোলেটেড কেবিন, ওয়ার্ড, এসআইসিইউ, এনআইসিইউ, পিআইসিইউ, সিসিইউ, এমআইসিইউর ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে সিজার বাণিজ্যে বেসরকারি হাসপাতাল