খুলনা ব্যুরো
বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। ১০ দফা দাবিতে বিএনপির দেশব্যাপী চলমান যুগপৎ আন্দোলন এক দফার আন্দোলনে পরিণত হতে চলেছে বলেও দাবি করেন তিনি। শনিবার খুলনায় বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর রায় বলেন, অবৈধ সংসদ বাতিল করতে হবে। দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং নতুন নির্বাচন কমিশন করতে হবে। তাদের ঘোষিত তফসিলে আগামী নির্বাচন হবে। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সংবিধান সংশোধন করা হবে।
গয়েশ্বর রায় তার বক্তৃতায় বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনসহ ১০ দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের থানায় থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও নিতাই রায় চৌধুরী এবং তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহেদী আহমেদ রুমী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক সোহরাব উদ্দিন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, যশোর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস ইসলাম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাহারুজ্জামান মোর্তজা, সাবেক এমপি আলাউদ্দীন, মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলি আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, সাতক্ষীরার আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, নড়াইলের সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, যশোর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য সচিব সাবেরুল হক সাবু প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু ও মহানগর যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির প্রভু পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে : বিএম মোজাম্মেল