ইলিয়াস উদ্দীন, নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের ঝিকরগাছার মল্লিকপুর মাঠে গভীর নলকূপের স্থগিত লাইসেন্স ফিরে পেতে কৃষকরা মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন যশোর সদর উপজেলার ছোট মেঘলা এবং ঝিকরগাছার মল্লিকপুর গ্রামের শত বিঘা জমির কৃষকরা। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ওই মাঠে কৃষক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গভীর নলকূপ স্থাপনে মামলায় সেচ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে ভুক্তভোগী এলাকার দুই শতাধিক কৃষক-কৃষাণীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মল্লিকপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, ছোট মেঘলা গ্রামের ইউপি সদস্য আলতাফ মাহমুদ, বর্গাচাষি আব্দুল গনি, রবিউল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, কৃষক ফরিদ উদ্দিন, সাফিয়া বেগম, আব্দুর রহিম ভুট্টো।
বক্তব্যদানকালে ভুট্টো বলেন, একটি যড়যন্ত্র মামলায় গভীর নলকূপের লাইসেন্স স্থগিত হওয়ায় এ মাঠে ১০০বিঘা জমিতে তিন বছর বোরো ধান চাষ বন্ধ রয়েছে। মামলার বাদী সাইফুজ্জামান মামলাটি আপোষনামা করেও তা নিয়ে টালবাহানা করছেন।
তিনি আরও বলেন, এ মাঠের শতাধিক বিঘা জমিতে বোরোধান চাষের জন্যে আমরা ২০১৭ সালে একটি গভীর নলকূপ বসানোর আবেদন করি। উপজেলা সেচ কমিটি যাচাই-বাছাই করে ২০১৯ সালে লাইসেন্স প্রদান করে। এতে বাধ সাধেন ঝিকরগাছার মল্লিকপুর গ্রামের সাইফুজ্জামান। অথচ, তার গভীর নলকূপটি রয়েছে দুই হাজার ফুট দূরে ও নিচু জায়গায়।
ভুট্টো বলেন, এলাকাবাসীর দাবির মুখে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সাইফুজ্জামান ঝিকরগাছা ইউনিয়ন পরিষদে আপোষনামা করে দেন মামলা তুলে নেবার জন্য। পরে সে সিন্ধান্ত নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে ঝিকরগাছা থানায় সালিসির কথা জানিয়ে ছিলেন সাইফুজ্জামান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে থানায় সে হাজির না হয়ে ছলচাতুরি করেন।
কৃষাণী সাফিয়া বেগম বেগম বলেন, আমার সম্বল তিন বিঘা জমির সবটুকুই এ মাঠে। কিন্তু নলকূপ বন্ধ থাকায় ধানের বড় আবাদ বোরো চাষ করতে পারছি না। একজন বিধবা হিসেবে সন্তানদের নিয়ে সমস্যায় আছি।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী সাইফুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন কিছুই জানিনা। তবে ভুক্তভোগীরা আমার কাছে আসলে আমি দ্রুতই ব্যবস্থা নেবো।