বিনোদন ডেস্ক
ঢালিউডে চলচ্চিত্র নির্মাণের পর সেটা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে হলে সেন্সর বোর্ডে জমা দিতে হয়। তবে সেন্সর বোর্ড সিনেমাটি মুক্তির জন্য ছাড়পত্র দেবে কি না সেটা নির্ভর করে সিনেমার সংলাপ, সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ের উপরে।
একটি সিনেমা শুটিং শেষ করে ডাবিং আর এডিটিং করেই মুক্তি দেয়া হয় না। তার জন্য কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করে দর্শকদের সামনে আশে নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলীদের পরিশ্রমের ফসল। তবে অনেক সময় এই সেন্সর ছাড়পত্র নির্মাতার কাছেই যেন গলার কাটা হয়ে দাড়ায়। সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে রানা প্লাজা, হরিবোল, মোর্থেং গাড়ি, আমার বাই সাইকেল, বাংলার ফাটাকেষ্ট’র মত অনেক সিনেমা।
আরও পড়ুন: পর্দায় আসছেন বুবুজান মাহি
কিন্তু কেন আটকে আছে সিনেমাগুলো কারণ জানতে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. মঈনুদ্দীন বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র সেন্সর আইন আছে। সেটার ব্যতায় ঘটলে সেই সিনেমা আর সেন্সর ছাড়পত্র পাবে না। সাধারণত সেন্সর বোর্ড যখন কোনো সিনেমা নিয়ে আপত্তি তোলে তখন তারা সুনিদ্দির্ষ্টভাবে বলে দেয় কোন ডায়ালগ, কোন দৃশ্য নিয়ে তাদের আপত্তি।
সেন্সর বোর্ডের সদস্য ও পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, কোনো স্পর্শ কাতর ঘটনা যে জিনিস দেখানো হলে জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার হবে, আইন শৃঙ্গখলাবাহীনির কার্যক্রম ভুলভাবে উপস্থাপন, রাষ্ট্রদ্রোহকে সমর্থন থাকলে যেগুলো সংশোধনের জন্য বলা হয়। পাশাপাশি গল্পে মধ্যে যদি একটা সম্প্রদায়কে আঘাত করে সেই সিনেমাও আটকে দেয়ার ক্ষমতা সেন্সর বোর্ডের থাকে।
এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য ও চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, যে সিনেমার গল্পে আমাদের দেশের ক্ষতি হতে পারে, আইনগনের বিরুদ্ধে কোনো সংলাপ থাকলে সেটা সেন্সর বোর্ড মুক্তি দেয়ার অনুমতি দেয় না।
আরও পড়ুন: বিরতির পর নতুন শ্রদ্ধা