নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের বেনাপোলের ওমর ফারুক সুমন (২৬) হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাতে তরিকুল ইসলামকে (২৯) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি শার্শা উপজেলার শালকোনা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে। এ নিয়ে হত্যায় জড়িত ৪ জন গ্রেপ্তার হলো। সুমন সোনার বার আত্মসাৎ করেছে সন্দেহে চোরাকারবারীরা তাকে দুইদিন ধরে নির্যাতনের পর হত্যা করে।
পুলিশ জানায়, রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে ঢাকার হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয় তরিকুল। এর আগে একটি মাইক্রোবাসসহ ঢাকার শাখারাী বাজার এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারা হলো, কুমিল্লার চান্দিনা থানার আলিকামুড়া গ্রামের সুনীল চন্দ্র দাসের ছেলে ঢাকার শাখারীবাজার এলাকার বাসিন্দা ডালিম কুমার দাস (৩৩), কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর গ্রামের ঠাকুর দাস নিয়োগির ছেলে ঢাকার শাখারী বাজারের বাসিন্দা বাসিন্দা অঞ্জন (৪৯) ও পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের দৌলত মুন্সির ছেলে ঢাকার ফকিরাপুলের আবুল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া রিয়াজ (৩৮)।
পুলিশ আরো জানায়, সোনা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১১ নভেম্বর চোরাকারবারী চক্রের হোতা শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল ও তার লোকজন মিলে সুমনকে বেনাপোলের গোলদার ম্যানসনের তৃতীয় তলায় আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। পরে তিনি মারা গেলে একটি প্রাইভেটকারে করে লাশ মাগুরা সদর উপজেলার রামনগর এলাকায় রাস্তার পাশের একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। পরে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও মোবাইল তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি জানিয়েছে, আনুমানিক ওজন ৩ কেজি ওজনের ২৫টি সোনার বার খোয়া যাওয়ায় চোরাকারবারী চক্রের কামাল গ্রুপ সুমনকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। পরে সোনা না পেয়ে তাকে হত্যা করে লাশ মাগুরায় ফেলে রেখে যায়।
গত ১৬ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে মাগুরার রামনগর গ্রাম থেকে সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করে বেনাপোল ও মাগুরা পুলিশ। নিহত সুমন বেনাপোলের টেংরালী গ্রামের ওসমান গণির ছেলে।
