নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের একটি আদালত সোনা চোরাচালান মামলায় মফিজুর রহমান নামে একজনকে ১২ বছর সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দয়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আসাদুজ্জামান জানান, সাজাপ্রাপ্ত মফিজুর রহমান শার্শা উপজেলার পুটখালি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় মফিজুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই বেনাপোল ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা পুটখালি বাজারে টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় সীমান্তের দিকে দুই ব্যক্তিকে মোটরসাইকেলে যেতে দেখে তারা তাদের থামার জন্য সংকেত দেন। তারা মোটরসাইকেল থামালে বিজিবি সদস্যরা পেছনে বসা মফিজুর রহমানের দেহ তল্লাশি চালিয়ে কোমরে বাঁধা সোনার ১০টি বার উদ্ধার করেন। এ ঘটনায়
বিজিবি’র নায়েক সুবেদার আব্দুল জলিল চোরাচালান দমন আইনে মফিজুর রহমান ও তার সঙ্গী আলমগীর হোসেনকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আসামি মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে সাজা প্রদান করেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি আলমগীর হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়।