নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের ঝিকরগাছার এক তরুণীকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ করে সোমবার ভুক্তভোগী তরুণী যশোর আদালতে মামলা করেছেন। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন।
আসামি আহম্মদ হোসাইন বাবু যশোর শহরের পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকার মোবারক হোসাইনের ছেলে।
ভুক্তভোগী ঝিকরগাছার মেয়ে। তিনি মামলায় বলেছেন, বেকার থাকার কারণে অভিযুক্ত বাবু তাকে স্কুল শিক্ষিকার চাকরির প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায় রাজি হলে গত ২৫ আগস্ট ঢাকাতে নিয়ে যায়। সেখানে আত্মীয় স্বজনের বাসায় থেকে বাবুর সাথে বিভিন্ন জায়গায় চাকরির সন্ধানে যান। এরই মধ্যে বাবু তাকে বলছে কোন বাসায় থেকে চাকরি খোঁজখবর নেয়া যাবেনা। এক পর্যায় তাকে নিয়ে ২৭ আগস্ট একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। সেখানেই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু রাজি না হওয়ায় ২৮ আগস্ট একজন ভুয়া কাজী ডেকে এনে কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে বলছে এখন আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করাতে আর সমস্যা নেই। এভাবে ঢাকা, যশোর ও আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে বাবু তাকে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর বাদীকে যশোর সদরের আমবটতলা বাজারে নিয়ে দাড় করিয়ে রেখে ইজিবাইক ভাড়া করার কথা বলে পালিয়ে যায় বাবু। ২৯ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী বাবুকে বাড়িতে ডেকে বিয়ের কথা বললে অস্বীকার করে। এই বিষয়ে লোকজনকে জানালে তাকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেন। স্থানীয় থানায় গেলে কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছে। ফলে গতকাল আদালতে মামলা করেছেন ওই তরুণী।