নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ছেলে দেখার নামে ডেকে নিয়ে স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে মারপিট ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে তবিবার রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এই মামলার প্রধান আসামি তবিবার রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামে এই ঘটনার পর ৪ জানুয়ারি চারজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় এই মামলাটি করেছেন যশোর শহরতলীর ঝুমঝুমপুর বালিয়াডাঙ্গার ইমারত হোসেনের স্ত্রী চম্পা বেগম।
আসামিরা হলো, বাঘারপাড়া উপজেলার পুনিহার গ্রামের মৃত হাচেন আলীর স্ত্রী রাহিলা বেগম তার ছেলে তবিবার রহমান, এলাকার কবির হোসেনের স্ত্রী সাগরি বেগম ও আব্দুর রহমানের ছেলে নাজিম ওরফে রাজিব।
মামলা মতে, জোহরা খাতুন শান্তার পারিবারিকভাবে তবিবার রহমানের সাথে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিছুদিন আগে থেকে যৌতুক দাবিতে শান্তাকে মারপিট করে তবিবার। এই কারণে শান্তা তার স্বামীর বিরুদ্ধে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। এরপর থেকেই শান্তা তার পিতার বাড়িতে অবস্থান করছেন। গত ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে সদর উপজেলার ঘোপ কচুয়া গ্রামের এক আত্মীয় বাড়িতে জান শান্তা, তার মা ও বাবা। সেখানে থাকাকালে ছেলেকে দেখার কথা বলে শান্তাকে মোবাইল করে তবিবার। ছেলে দেখার সময় শান্তা, তার মা ও বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গালি দিতে নিষেধ করায় তাদের এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এরপর শান্তার গলায় থাকা ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে তিনজনকেই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে গত ৪ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন শান্তার মা। ওই মামলায় গতকাল আসামি তবিবার রহমানকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই হুমায়ুন আহম্মেদ।