নিজস্ব প্রতিবেদক
চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন অফথালমোজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওএসবি) যশোর জেলা শাখার বার্ষিক সাধারণ সভা ও বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সম্মেলনে জেলার চক্ষু বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ এবং বিভিন্ন আই কেয়ার হাসপাতালের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবায় দক্ষ জনবল খুবই কম। আমাদের এ সংকট দূর করতে হবে। বেশি বেশি চিকিৎসক তৈরি করতে হবে। শুধু চক্ষু চিকিৎসক নয়, তাদের সার্জারির বিষয়েও জ্ঞান থাকতে হবে। ২০৩২ সালের মধ্যে ৩ হাজার ২শ চক্ষু চিকিৎসকের প্রয়োজন পড়বে। এখন আছে ১৪শ জন। তিনি সম্মেলনে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তরুণ চিকিৎসকদের চক্ষু চিকিৎসা জ্ঞান ও সার্জারিতে দক্ষ করার বিষয়ে নানা আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্ঠ রোগ ভালো হয়
বিশেষ অতিথি ছিলেন আদ-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশের চক্ষু বিশেষজ্ঞ সমিতি সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. তারেক রেজা আলী, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন যশোর শাখার সভাপতি ডা. এ কে এম কামরুল ইসলাম বেনু, সাধারণ সম্পাদক এম এ বাশার, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান, যশোর সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, স্বাচিপ যশোরের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্তজা। চক্ষু বিশেষজ্ঞ সমিতির যশোরের সভাপতি ডা. আহসান কবিরে সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. গিয়াস উদ্দিন, সহ সভাপতি মিজানুর রহমান।
বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. লুৎফর রহমান ও অধ্যাপক ডা. বিশ্বনাথ ঘোষ। সভাশেষে ওএসবি যশোর জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সভাপতি অধ্যাপক ডা. গিয়াস উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন হিমাদ্রী শেখর সরকার। অন্যান্য পদে রয়েছেন সহ-সভাপতি ডা. মিনহাজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ডা. আলমগীর কবির, বৈজ্ঞানিক সম্পাদক অধ্যাপক ডাক্তার নাহিদ কামাল, সদস্য ডাক্তার আহসান কবির, অধ্যাপক ডা. এম নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. অমল কুমার বিশ্বাস, ডা. ফকির মহাম্মদ ও ডা. মাহমুদুর রহমান।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে মেলে না বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক