নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল যশোর এমএম কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্মাতক সমাপনী অনুষ্ঠান-২০২৩ ও ক্লাসরুম লাইব্রেরির উদ্বোধন। সোমবার ইতিহাস বিভাগের স্মার্ট ক্লাসরুমে অনার্স চতুর্থ বর্ষ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আয়োজনে সকাল সাড়ে নয়টায় সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও মননশীল বিকাশের লক্ষ্যে এদিন ইতিহাস বিভাগের ‘ক্লাসরুম লাইব্রেরি’ নামক উন্মুক্ত লাইব্রেরির উদ্বোধন করা হয়। ক্লাসরুম লাইব্রেরিতে বিজ্ঞানচিন্তা, রাষ্ট্রচিন্তা, সমাজ ভাবনা, স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন, অর্থনীতি, সাম্প্রতিক বিষয়াবলী ও ফ্যাশন সম্পর্কিত বই দিয়ে যাত্রা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু বক্কর সিদ্দিকী। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এসএম শফিকুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর জিল্লুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মার্জিয়া সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক খোন্দকার হাফিজুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক সুজন মিয়া, সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবীর, প্রভাষক আবুল বাশার প্রমুখ।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান, রাইয়াদ ফেরদৌস হামিম, অমিত রায় ও মনিরা খাতুন। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দিন উপস্থিতির জন্য পাঁচজনকে ইতিহাস ক্লাব, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ যশোরের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন জান্নাতুল ফেরদৌস জীম, শাওন হোসেন, বিপুল হোসেন, সোহাগ আলী ও মনিরা খাতুন। পুরস্কারপ্রাপ্তদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেন কলেজের অধ্যক্ষ। অনুষ্ঠানের শেষলগ্নে উদ্বোধন করা হয় ইতিহাস বিভাগের ক্লাসরুম লাইব্রেরি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. কামরুজ্জামান। ক্লাসরুম লাইব্রেরি’র অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, ক্লাসরুম লাইব্রেরি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। স্মার্ট সিটিজেন হওয়ার ক্ষেত্রে এটি ভূমিকা রাখবে। তিনি সবাইকে স্মার্ট সিটিজেন হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শেখ রাশেদ আয়ূব।
