নিজস্ব প্রতিবেদক
স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গণ গড়ার লক্ষ্যে যশোরে প্রীতি ম্যাচ অপ্রীতিকর ঘঁনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে মুখোমুখি হয় যশোর সদর ও কেশবপুর উপজেলা। ম্যাচে সাডেন ডেথে বিজয়ী হয় যশোর সদর উপজেলা। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে সমতায়। পরে টাইব্রেকারে ২-২ গোলে সমতায় শেষ হয়। সাইফ পাওয়ার টেকের সহযোগিতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা এ ম্যাচের আয়োজন করে।
স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গণ, স্মার্ট বাংলাদেশ স্লোগানে অনুষ্ঠিত ম্যাচে জয়ের নেশা মত্ত কেশবপুরের কোচ জয় সাহা সহকারী রেফারি আল ইমরান শান্তর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তিনি।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে একটি অফসাইডকে কেন্দ্র করে জয় সাহা যে আচরণ করেন শান্তর সাথে তা ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। এ ঘটনায় তিনি লাল কার্ড দেখার উপযুক্ত ছিলেন। কিন্তু রেফারি মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন নিরব।
বিষয়টি শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ ছিল না। সহকারী রেফারি আল ইমরান শান্তকে সরিয়ে না নিলে তার দল খেলবে না বলে ঘোষণা দেন। খেলোয়াড়দেরকে মাঠ ত্যাগেরও নির্দেশ দেন। বাধ্য হয়ে আয়োজকরা শান্তকে সরিয়ে চতুর্থ রেফারির দায়িত্বে থাকা ফেরদৌস হাসানকে সহকারী রেফারির দায়িত্ব প্রদান করেন। এক অর্থে তার হুমকিতেই আয়োজকরা এ কাজ করতে বাধ্য হন। পরে এই কোচকে তার টেন্টে যেয়ে প্রকাশ্যে ধুমপান করতেও দেখা গেছে।
যশোর জেলা রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিবাস হালদার বলেন, রেফারি শান্ত সঠিক ছিলেন। কিন্তু যেভাবে সহকারী রেফারির দিকে কেশবপুর উপজেলার কোচ তেড়ে এসেছেন এবং যে আচরণ করেছেন এটা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। কিন্তু খেলার বৃহত্তর স্বার্থে আমরা কিছু বলেনি। সুন্দর ভাবে ম্যাচ শেষ করা আমাদের দায়িত্ব ছিল। তা শেষ করার চেষ্টা করেছি।
টাইব্রেকারে গোল ঠেকিয়ে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন, যশোর সদর উপজেলার গোলরক্ষক নাহিদ।
ম্যাচ শুরু আগে বেলুন উড়িয়ে ম্যাচের উদ্বোধন ও ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবির।