কবির হোসেন কিবরিয়া, শরণখোলা
হরতাল-অবরোধে যখন অচল বাগেরহাটের সড়কপথ, ঠিক তখনই রাস্তায় ব্যারিকেডের সামনে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠেছেন তরুণরা। আগুন জ্বালানো আর রাস্তায় গাছ ফেলে অবরোধের মাঝেই তারা ব্যাট-বলে খুঁজে নিয়েছেন ভিন্ন উচ্ছ্বাস। একমাত্র রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সসহ যানবাহন ছিল হরতালের আওতামুক্ত।
বাগেরহাটের বারাকপুর এলাকায় রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে হরতাল ও অবরোধ চলাকালে স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের সড়ক আটকিয়ে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। তাদের খেলতে থাকা সড়কের পেছনেই জ্বলছিল আগুন, সামনে ছিল বাঁশের ব্যারিকেড। রাজনৈতিক কর্মসূচির কঠিন বাস্তবতার মাঝেই তারা সড়ককে বানিয়ে ফেলেন অস্থায়ী খেলার মাঠ।
স্থানীয় যুবক নাহিদ শেখ বলেন, ‘আমরা চাই না সারা দিন অচল হয়ে বসে থাকতে। তাই খেলতে নেমেছি। অন্তত সময়টুকু আনন্দে কাটছে।’
এ সময় সোহাগ মোল্লা বলেন, ‘হরতালে যেখানে সবাই ভোগান্তিতে, আমরা অন্তত খেলায় ব্যস্ত আছি। এটাকে এক ধরনের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বলা যায়।’
এ দিকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা হরতালে অচল হয়ে পড়ে বাগেরহাটের সড়কপথ। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকায় কর্মজীবী মানুষ, অসুস্থ রোগী ও পরীক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। রাস্তায় গাছ ফেলে আটকে দেয়া, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকে দীর্ঘপথ হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
বাগেরহাট সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবে চারটি আসন থেকে তিনটিতে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেইনি। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে হরতাল-অবরোধ পালন করছি। কোনো দোকানপাট খোলা নেই, যান চলাচল বন্ধ। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এর বিরোধিতা করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে। আগামী ২৫ আগস্ট এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দফতরে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।