নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের হরিহর নদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ও পার্ক নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন দুপাড়ের বাসিন্দারা। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে যশোর সদরের গোয়ালদাহ বাজারে এ মানববন্ধনে অংশ নেন কয়েকশ মানুষ।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেয়া স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হরিহর নামে নদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে বসেছে। এ প্রজন্ম হরিহর নামে যে নদ ছিল সেটি ভুলতে বসেছে। ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদে কমপক্ষে ১৫৬ স্থানে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ও বালি উত্তোলন করেছে অবৈধ দখলদাররা। দখলদাররা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই নদ সংক্রান্ত যে সাইনবোর্ড সেটিও গায়েব করে দিয়েছে। এ ছাড়া নদের ধারে ইচ্ছা এগ্রো ফ্যামিলি পার্ক নামে একটি পার্ক তৈরির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ও পার্ক নির্মাণ বন্ধের দাবিতে এরইমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একাধিক অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। এ অবস্থায় নদী রক্ষায় অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন:নড়াইলে এমপি মাশরাফির বাড়ির সামনে মাঠে বালির ব্যবসা!
গোয়ালদাহ এলাকার বাসিন্দা আল রোহান বলেন, এ নদ আমি ছোট বেলা থেকে দেখছি। সম্প্রতি জানতে পেরেছি রেকর্ডে এ নদ ধানি সম্পত্তি দেখিয়ে অনেকে নিজের নামে রেকর্ড করে দখল করেছে। বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে, বালু তুলে দখল করে খাচ্ছে। এসব দখলদাররা অত্যন্ত প্রভাবশালী। এমনকি প্রভাবশালী দখলদারদের কেউ কেউ নদের জমিতে প্রকল্প দেখিয়ে বড় অংকের লোন নেয়ারও চেষ্টা করছে।
মণিরামপুর উপজেলার নদের পাড়ের এড়েন্দা গ্রামের শাহাদত হোসেন বলেন, নদীর মধ্যে মেশিন বসিয়ে বালি তুলছে কতিপয় স্বার্থান্বেষী। ভয় হয় কখন আমার বাড়ি ধসে পড়ে। স্বামী সন্তান নেই তাই ভয়ে কাউকে কিছু বলতেও পারি না।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তাওহীদুল ইসলাম বলেন, হরিহর নদের দৈর্ঘ্য ৪৫ কিলোমিটার। মণিরামপুরে থেকে কেশবপুরের দিকে ১৫ কিলোমিটার খনন করা হয়েছে। আর ঝিকরগাছা থেকে মণিরামপুর যে ৩০ কিলোমিটার রয়েছে তা খননের জন্য একটি প্রকল্প (ডিপিপি) অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। খননের সময় অবশ্যই দখল উচ্ছেদ করা হবে।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গাদের ভাষানচর স্থানান্তরে জাতিসংঘের সহায়তা কামনা
১ Comment
Pingback: বেনাপোল-পেট্রাপোল নো-ম্যান্সল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে দু‘বাংলার ভাষা প্রেমীদের মিলন মেলা