ঢাকা অফিস
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হামলার শিকার হন প্রার্থী হিরো আলম ওরফে আশরাফুল আলম। এ ঘটনায় গ্রেফতার সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচনের দিন আমার ওপর যে হামলা হয়েছিল, এতে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা হামলা চালিয়েছে সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের সবার জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। এরা গোপালগঞ্জ, বরিশাল ও বনানীর নেতাকর্মী।’
আওয়ামী লীগের নেতাদের ইশারায় হামলা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে আর জাতীয় নির্বাচন করবো না। প্রশ্নই আসে না।’
হিরো আলমের দাবি, ‘নির্বাচনে জয়ের জন্য আওয়ামী লীগ ক্যাডার বাহিনী নিয়োগ করেছে। আজ ডিবি কার্যালয়ে তারই প্রমাণ হয়েছে।’
উপনির্বাচনের দিন হামলার ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।
আর পড়ুন-সাঈদীর জন্য দোয়া করায় ঈমামকে ছুরিকাঘাতে জখম
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম এবং তার ব্যক্তিগত সহকারি পরান সরকারসহ প্রতিনিধি রাজীব খন্দকার, মো. রনি, মো. আল-আমিনসহ অনেকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় হিরো আলমসহ প্রতিনিধিরা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান।
হিরো আলমসহ তারা পাঁচ-ছয়জন বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে।
একপর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। তাদের মধ্যে থেকে একজন হত্যার উদ্দেশ্যে দু’হাতে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে এবং অন্য একজন তার তলপেটে লাথি মারলে হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যান।
তখন অন্য আসামিরা হিরো আলমকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম এবং টানাহেঁচড়া করে। ওই সময়ে বাদি এবং অপর ব্যক্তিগত সহকারি পরান সরকার মিলে হিরো আলমকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তারা বাদিসহ পরান সরকার, রাজীব খন্দকার, রনি ও আল-আমিনকে মারধর করে। এরপর কেন্দ্রে ডিউটিরত পুলিশ এবং একতারা প্রতীকের সমর্থনকারীদের সহায়তায় হিরো আলমসহ তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।