নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক মোল্লার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরের দিন সদরের খাজুরা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও চাঁদার দাবিতে জমি দখল, গাছ কর্তন, ভাচুর ও লুটপাট চালায় তারা। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, সদরের খাজুরা মৌজার ২৮ নম্বর আরএস খতিয়ানের ৫৫, ৩০ ও ৫৩ দাগের জমিতে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছি। একই এলাকার আবুল কাশেম, কামাল হোসেন, সাইদুল, বাচ্চু, টনি, পলাশ, সাবদুল্লাহসহ কয়েকজন দীর্ঘদিন যাবৎ আমার জমি দখল করার চেষ্টা করে আসছে। আমাকে নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছে। যে কারণে আমি তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও করেছি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কাশেম, কামালসহ কয়েকজন ওইদিন রাতে আমার বাড়িতে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে পরদিন ৬ আগস্ট সকালে তারা আমার বাড়িতে লুটপাট ও ভাংচুর করে। এছাড়াও তারা করাত দিয়ে আমার বাড়ির বড় বড় ২৫টি মেহেগনি গাছ কেটে ভ্যানে করে নিয়ে চলে যায়। ঘটনার পরবর্তীতে গত ১৮ আগস্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। অভিযুক্তরা আগে লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আলিমুজ্জামান মিলনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিল। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মদদে তারা আমার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। আমি দোষীদের শাস্তি ও ন্যায় বিচার চাই। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক মোল্লার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।