সাজ্জাদ তুহিন, নড়াইল:
নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে এমপি মাশরাফির আকষ্মিক ঝটিকা অভিযানের পরপরই বিকেলে ৮ জন চিকিৎসককে শোকজ করা হয়েছে।
১৮ ডিসেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই এ অভিযান শুরু করেন এমপি মাশরাফির।
এসময় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার বিস্তারিত খোজ খবর নেন এবং এসময় হাসপাতালে আটজন চিকিৎসককে যথা সময় কর্মস্থলে না পাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুপার ডা. আসাদুজ্জামানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন এমপি মাশরাফি।
এরই ধারাবাহিকতায় নড়াইল সদর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ আটজন চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।একইসঙ্গে হাসপাতালের দুজন মেডিকেল প্যাথোলজিস্ট ও একজন কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঠিকমতো হাজির না হওয়া ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আসাদ উজ-জামান মুন্সী।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুপার ডা. আসাদুজ্জামান তিনি সাংবাদিকদের জানান, শনিবার সকাল ৯টার পরে আসায় আটজন চিকিৎসক ও দুজন মেডিকেল প্যাথোলজিস্টকে শোকজ করা হয়েছে।
এছাড়া শিশু ওয়ার্ডে শুক্রবার রাতে ১৭ জনের জায়গায় তিনজনকে খাবার দেয়ায় ডায়েটের দায়িত্বে থাকা একজন কর্মচারীকে শোকজ এবং এর সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আউটসোর্সিংয়ের একজন কর্মচারীকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোগী জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ঝটিকা সফরে আসেন এমপি মাশরাফি।
এসময় রোগীরা ঠিকমতো খাবার না পাওয়া, ওষুধ না দেয়া, চিকিৎসক ও মেডিকেল প্যাথোলজিস্টদের সময়মতো হাজির না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান। তিনি শিশু ওয়ার্ডে গেলে রোগীরা তার কাছে অভিযোগে জানান, শুক্রবার রাতে ১৭ জনের জায়গায় তিনজনের মিল দেয়া হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসক নার্সরা ঠিকমতো রোগী দেখেন না। টয়লেট অপরিস্কার থাকে।