বিনোদন ডেস্ক
নক্ষত্র পতন যেন থামছেই না। একজনকে হারানোর শোক কাটিয়ে উঠার আগেই আরেকজনের মৃত্যুর খবর। এবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভারতের ওড়িয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হুমানে সাগর। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৩৫।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গায়ক হুমানে সাগরের শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছিল। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়াসহ লিভার অকেজো এবং বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়েছিল। এ অবস্থায় তিনদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই তারকা।
ভুবনেশ্বর এইমসের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল হুমানে সাগরকে। চিকিৎসকদের আন্তরিক চেষ্টা থাকার পরও ফেরানো সম্ভব হয়নি তাকে। আর তরুণ এ গায়কের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে ওড়িয়া শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিতে।
এ গায়কের মৃত্যুতে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আমাদের সিনেমা-সংগীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও সংসদ সদস্য বৈজয়ন্ত পান্ডা।
জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন হুমানে সাগর। বাইল্যাটারাল নিউমোনিয়া, অ্যাকিউট ক্রনিক লিভার ফেলিওর, মাল্টি অর্গান ডিসফাংশন সিনড্রোম―সবই একসঙ্গে বাসা বেঁধেছিল তার শরীরে। এ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে সব ধরনের পরীক্ষা করে চিকিৎসা শুরু হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সব ধরনের রোগই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। এ জন্য নানা ধরনের ওষুধেও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু তাতেও বিশেষ উন্নতি দেখা যায়নি। পরে সোমবার রাতে মৃত্যু হয় তার।
প্রসঙ্গত, তিতিলাগড়ের সংগীত পরিবারে জন্ম হুমানে সাগরের। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি বেশ ঝোঁক ছিল। অল্প বয়সের সেই সুর জাদু করতো সবাইকে। ২০১২ সালে তরঙ্গ টিভির জনপ্রিয় ট্যালেন্ট হান্ট শো ‘ভয়েস অফ ওড়িশা সিজন-২’ সিজনে জয়ী হওয়ার মাধ্যমে রাজ্যজুড়ে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর ২০১৫ সালে ‘ইশক তু হি তু’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার প্লেব্যাকে আত্মপ্রকাশ করেন। সিনেমাটি ব্যাপক হিট হয়, যা তাকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে।
